শিরোনাম :
ইসকন নিষিদ্ধের দাবীতে গণজমায়েত ও বিক্ষোভ মিছিল মুরাদনগরের গাজিরহাটে সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের খোলা চিঠি বিতরণ। মুরাদনগরে সাবেক এমপি কায়কোবাদের দেশে আগমন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক আলোচনা সভা। মুরাদনগরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সাবেক এমপি কায়কোবাদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চার ডাকাত গ্রেফতার নবীনগর সদর পৌর মার্কেটে ভয়াবহ আগুন! নবীনগর মেধাবীদের তীর্থস্থান – নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী নবীনগর মেধাবীদের তীর্থস্থান —- নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরী বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত নবীনগরে নিরপরাধ কোন ব্যক্তি হয়রানির স্বীকার হবে না সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় নবাগত অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুর রাজ্জাক
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২২ অপরাহ্ন

পরকীয়ার জেরে ভায়রার হাতেই ভায়রা খুন

প্রতিনিধির নাম / ৫৯৬ বার
আপডেট : বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪

 

স্ত্রীর পরকীয়ায় সহযোগিতা করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ভায়রা ভাইয়ের হাতেই খুন হয়েছেন ভ্যান চালক সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামের এক যুবক। গত শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের আশরাফপুর বিল থেকে সাদ্দামের মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত যুবক উপজেলার বিদ্যাকুট গ্রামের আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গ্রেফতারের পর সোমবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সামিউল আলমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য জানান ভায়রা ভাই বাবুল (৪০)। বাবুল নেত্রকোনা জেলার খায়ের বাংলা গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার শচীন চাকমা জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর তদন্তে নামে পুলিশ। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকারী হিসেবে নিহত সাদ্দামের ভায়রা ভাই বাবুলকে সনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। পরে সোমবার আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বাবুল। বাবুল জবানবন্দিতে জানায়, গত প্রায় ১০ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের কৃষ্ণনগরের শায়েস্তা আরাকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। নরসিংদীতে কাজের সুবাদে বসবাস করা কাদির নামে এক ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীর পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে তারা পালিয়ে নবীনগর এসে পড়ে। বিয়ে না করেও তারা সংসার করে, ফলে শায়েস্তারা গর্ববতীও হয়। আর এসবে সহায়তা করে আসছিল শায়েস্তা আরার বোনের স্বামী সাদ্দাম। সাদ্দাম সব কিছু জেনেও ভায়রা ভাই বাবুলকে কোন প্রকার সহায়তা করেননি। এই ক্ষোভে গত শুক্রবার সাদ্দামকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে বাবুল পালিয়ে যায়।

  1. এই ঘটনায় নিহত সাদ্দামের ভাই অজ্ঞাত আসামি করে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তদন্তে বাবুলের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেওয়ার পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ