রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৭:০৬ অপরাহ্ন

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ: সেনবাগের গর্ব ও আগামীর উন্নয়নের আলোকবর্তিকা

প্রতিনিধির নাম / ১১১ বার
আপডেট : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

20

লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ: সেনবাগের গর্ব ও আগামীর উন্নয়নের আলোকবর্তিকা

‎প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু নাছের, ব্যুরো চীফ নোয়াখালী:

‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সবসময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ দলের শক্তি হলো জনগণ, আর জনগণের শক্তিকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব। নোয়াখালীর ঐতিহ্যবাহী সেনবাগ উপজেলায় বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর দায়িত্ব গ্রহণ নিঃসন্দেহে সেনবাগবাসীর জন্য এক নতুন আশার আলো।

‎নেতৃত্বের মেধা ও দৃঢ়তা:

‎লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ একজন দূরদর্শী, সৎ ও কর্মঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি বিশ্বাস করেন—রাজনীতি মানেই জনগণের সেবা, ন্যায় প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করা। সেনবাগ উপজেলার মানুষ তাঁকে চেনে একজন অকৃত্রিম নেতা, যিনি সর্বদা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। তাঁর মেধা, প্রজ্ঞা ও দৃঢ় নেতৃত্ব সেনবাগ বিএনপিকে নতুন প্রাণশক্তি দেবে।

‎সেনবাগ: ইতিহাস ও সম্ভাবনার মাটি:

‎সেনবাগ নোয়াখালীর একটি প্রাণকেন্দ্র। এ উপজেলার মানুষ শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ হলেও আধুনিক উন্নয়নের অনেক ক্ষেত্র এখনো অনাবিষ্কৃত। সড়ক যোগাযোগ, শিল্প-কারখানা, তথ্যপ্রযুক্তি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষার প্রসার—সব ক্ষেত্রেই আরও উদ্যোগের প্রয়োজন। ইতোমধ্যে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা , দারিদ্র দূরীকরণে অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে উপহার বিতরণ, শিক্ষা বৃত্তি,  সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবক, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ ভাবে অনুদান প্রদান করে মানবতার সৈনিক হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন।

‎লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করেছেন, সেনবাগের উন্নয়ন মানেই পুরো নোয়াখালীর উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি। এজন্য তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই উন্নয়নের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে কাজ শুরু করবেন।

‎সাংগঠনিক দৃঢ়তা ও ঐক্যের প্রতীক:

‎বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, যেখানে ঐক্য ও সংগঠনের শক্তি অত্যন্ত জরুরি। যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে তাঁর অন্যতম কাজ হলো দলকে সুসংগঠিত করা, নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির মূলধারায় সম্পৃক্ত করা।

‎তিনি তাঁর কর্মপদ্ধতিতে সবসময় আলোচনা, পরামর্শ ও সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেন। এজন্য নেতাকর্মীরা তাঁকে শুধু নেতা হিসেবেই নয়, বরং একজন অভিভাবক হিসেবে মানেন।

‎মানবিক সমাজসেবার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত:

‎লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ কেবল রাজনীতিবিদই নন, তিনি সমাজসেবক হিসেবেও সমাদৃত, দীর্ঘদিন ধরে সৈয়দ হারুন ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষায় সহায়তা, দারিদ্র্য নিরসন, চিকিৎসা কার্যক্রম, মানবিক সহায়তা ও সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছেন। বিশেষত প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা মহামারীর সময় তাঁর নেতৃত্বে সহায়তা কার্যক্রম সেনবাগবাসীর হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন—“রাজনীতি হলো সেবার অন্য নাম।”

‎সেনবাগের উন্নয়নে বিশেষ পরিকল্পনা:

‎যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ যে উন্নয়ন ভাবনা প্রকাশ করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

‎১. শিক্ষার প্রসার – গ্রামীণ এলাকায় আধুনিক স্কুল-কলেজ স্থাপন, বৃত্তি প্রদান ও তরুণদের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রসার।
‎২. স্বাস্থ্যসেবা – প্রত্যন্ত অঞ্চলে কম খরচে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়া।
‎৩. কর্মসংস্থান – ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও যুবসমাজকে কর্মমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়া।
‎৪. কৃষি উন্নয়ন – আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, সেচ ও বাজারব্যবস্থার উন্নতি।
‎৫. অবকাঠামো – গ্রামীণ সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিস্তার।
‎৬. ডিজিটাল সেনবাগ – ই-গভর্নেন্স ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনসেবাকে সহজলভ্য করা।

‎এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে সেনবাগ উপজেলায় উন্নয়নের নবদিগন্ত উন্মোচিত হবে।

‎তরুণদের অনুপ্রেরণা:

‎তরুণরাই একটি জাতির ভবিষ্যৎ। লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ তরুণদের রাজনীতিতে ইতিবাচকভাবে সম্পৃক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি মনে করেন, তরুণদের শক্তি, উদ্যম ও দেশপ্রেমের মধ্য দিয়েই সেনবাগকে একটি মডেল উপজেলায় রূপান্তর করা সম্ভব। এজন্য তিনি শিক্ষা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও নেতৃত্ব প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

‎গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার:

‎বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সবসময়ই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের পক্ষে। সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন। তিনি বিশ্বাস করেন–স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক রাজনীতি ছাড়া একটি উপজেলার উন্নয়ন সম্ভব নয়।

‎ঐক্য, শান্তি ও সৌহার্দ্যের প্রতীক:

‎রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ সবসময় ঐক্য, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধকে প্রাধান্য দেন। এজন্য তিনি ভিন্ন রাজনৈতিক মতের মানুষদের সাথেও সৌহার্দ্যমূলক সম্পর্ক রাখেন। তিনি বিশ্বাস করেন,উন্নয়ন কখনো বিভাজনের মাধ্যমে সম্ভব নয়, বরং ঐক্যের মধ্য দিয়েই একটি সমাজ এগিয়ে যায়।

‎সেনবাগবাসীর প্রত্যাশা:

‎আজ সেনবাগের সর্বস্তরের মানুষ আশা করছে—লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর নেতৃত্বে উপজেলায় একটি নতুন উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি হবে। শিক্ষার্থী, যুবক, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক—সবাই তাঁর মধ্যে দেখছেন একজন বিশ্বাসযোগ্য নেতৃত্ব।

‎সবশেষে বলা যায়, সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ-এর দায়িত্ব গ্রহণ শুধু রাজনৈতিক দিক থেকে নয়, বরং উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও মানবিকতার দিক থেকেও এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তিনি একজন প্রকৃত সেবক, যিনি রাজনীতিকে জনগণের কল্যাণে কাজে লাগাতে চান।

‎আমরা বিশ্বাস করি—তাঁর নেতৃত্বে সেনবাগ উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ সর্বক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তাঁর প্রজ্ঞা, মানবিকতা ও সেবামূলক নেতৃত্ব সেনবাগকে নোয়াখালীর অন্যতম উন্নয়নকেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

‎লায়ন সৈয়দ হারুন এমজেএফ সেনবাগের গর্ব, বিএনপির শক্তি এবং আগামীর উন্নয়নের আলোকবর্তিকা।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ