কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে নবীনগরে আশংকা জনক হারে বৃদ্ধিপাচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর- রাধিকা ও নবীনগর টু কোম্পানিগঞ্জ সড়কে গত দুই বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু শতাধিক। এই মৃত্যু আশংকা জনক হারে বৃদ্ধির মূল কারন রাস্তার অবস্থা অতিতের যেকোনো সময় থেকে ভালো। আওয়ামী লীগের মনোনীত ২০১৪ নির্বাচনের সংসদ সদস্য ফজলুর রহমান বাদল ৩৫ কোটি টাকা দিয়ে নবীনগর টু বাঙ্গরা রাস্তা প্রশস্ত করুন ও সংস্কার করেন। এই রাস্তাটি নবীনগর নবীনগরের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক বিশেষ করে জিনদপুর, কোনাঘাট দিয়ে নবীনগর পশ্চিম অঞ্চলের বিশেষ করে শ্যামগ্রাম, সলিমগঞ্জ বড়িকান্দি, সাতমোড়া রসুল্লাবাদ অঞ্চলের লোকজন নবীনগর সদরে আসা-যাওয়া করে কোনঘাট দিয়ে, নবীনগরে প্রবেশপথে নবীনগর থেকে কোম্পানীগঞ্জ গামী গাড়িও চলাচল করে এতে করে কোনাঘাট মোড় থেকে নবীনগর পর্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলের ছয়টি ইউনিয়ন এর গাড়ি ও নবীনগর থেকে কোম্পানিগঞ্জের গাড়ির জন্য যানবাহনের একটি চাপ সৃষ্টি হয়। এতে করে কোনাঘাট থেকে নবীনগর অংশে বিভিন্ন সময় ওভারটেকিং করতে গিয়ে অতিরিক্ত গতির কারণে অতিরিক্ত গাড়ির কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে গত কয়েক বছরে ডজনের উপর লোকজনের প্রাণহানি ঘটে শুধুমাত্র নারায়ণপুর আলিয়াবাদ অংশে। নবীনগর টু রাধিকা সড়কের ইতিমধ্যে শতাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এই মৃত্যুর পেছনের একমাত্র কারণ অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং ও অদক্ষ ড্রাইভার। এই দুর্ঘটনার ফলে নবীনগরের অনেক পরিবার হারিয়েছে তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জন ক্ষম ব্যক্তিটিকে, অনেক পরিবার হয়েছে অসহায়, অনেক পরিবারের অনেক সদস্য চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেছে। তারপরেও দেখার কেউ নেই যদিও নবীনগর উপজেলা প্রশাসন থেকে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল একদিনের পর আর চোখে পড়েনি। এলাকাবাসী এবং যাত্রীদের নিকট থেকে জানতে চাইলে এই রাস্তায় দুর্ঘটনার কারণ সিএনজি ড্রাইভার এবং অধ্যক্ষ মোটরসাইকেল এই দুইটি বিষয় যদি প্রশাসন শক্ত হাতে দমন করে তাহলে পরে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশ কমে আসবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। সড়ক দুর্ঘটনার আরেকটি কারন হলো এই রাস্তাটি আন্তজেলা যোগাযোগের একটি বড় মাধ্যম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার যে অতীতের রাস্তাটি কসবা হয়ে গিয়েছে এই রাস্তাটির অবস্থা ভালো নয় এজন্য সিলেট থেকে আসা হবিগঞ্জ থেকে আসা ঢাকা থেকে আসা কুমিল্লাগামী ও চট্টগ্রামের যানবাহন এখন নবীনগর টু রাধিকা সড়ক হয়ে কোম্পানীগঞ্জ হয়ে কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম যায়। এতে করে রাস্তায় গাড়ির চাপ বেড়ে গিয়েছে এই চাপ নিয়ন্ত্রণে রাস্তার দুর্ঘটনা রোধে রাস্তার মাঝখানে ডিভাইটার দেওয়ার অনুরোধ করেছে সাধারন যাত্রীরা, যদি রাস্তাটি দুই লাইনের হয় তাহলে ওভারটেকিং জনিত কারণে যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে আর ঘটবে না। এজন্য কোনাঘাট মোড় থেকে নবীনগর আলিয়াবাদ চৌরাস্তার মোড় পর্যন্ত আলিয়াবাদ চার রাস্তার মোড় থেকে সাহারপাড় পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে ডিভাইটার দিয়ে রাস্তাটিকে দুইলাইন করা হয় তাহলে পরে এই দুর্ঘটনা ঘটবে না বলে এলাকাবাসী মনে করেন।