ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের চর লাপাং গ্রামে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ২০।
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ০৩ মার্চ ২০২৫ (সোমবার): দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জনসাধারণের জান-মালসহ সার্বিক নিরাপত্তা এবং আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করেন যৌথবাহিনি।
এরই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ০৩ মার্চ ২০২৫ তারিখ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেড, আর্মি এভিয়েশন, র্যাব, পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্স দ্বারা নবীনগরের চর লাপাং গ্রামে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যৌথ বাহিনীর সফল এই অভিযানে প্রায় দেড় শতাধিক ধারালো অস্ত্র, তিনটি মোবাইল ফোন এবং ২০জনকে আটক করে । আটককৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ এবং আইনি কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী রায়পুরার মির্জাচরেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করার সময় হেলিকপ্টার ও ঐ এলাকার আকাশ সীমার খুব নিচু দিয়ে ঘুরতে দেখা যায়,অভিযান পরিচালনা করার সময় চরলাপাং এর সাধারন লোকজন ভয়ে আতংকে দিকবিদিক দৌড়াদৌড়ি করেন, তাদের জান ও মালের ক্ষতি হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন।এত সংখ্যক আর্মি, হেলিকপ্টার,নৌকা, স্পিডবোট করে চরলাপাং এলাকায় অভিযান ৭১ সালের পর এই প্রথম বলে জানিয়েছেন প্রবীন মুরব্বিরা।
জানা যায়,দুই সপ্তাহ আগে রায়পুরার নির্বাহী কমিশনার অভিযানে আসেন মির্জাচরে সেই অভিযানে নূরুল ইসলাম ও হারুনের লোকজন নির্বাহী কমিশনারের উপর হামলা করেন, তখন থেকেই জেলা প্রশাসকের ঘোষণা ছিল যৌথবাহিনির একটি বৃহৎ অভিযান পরিচালনা হবে এই এলাকায়।মূলত রায়পুরার সন্ত্রাসী বাহিনী নিজ এলাকায় দাঙ্গা সংঘটিত করে চরলাপাং এলাকায় আশ্রয় গ্রহন করেন এমন তথ্যও ছিল সেনাবাহিনীর নিকট।আশ্রয় দেয়ার খেসারত দিতে হলো চরলাপাং গ্রাম বাসীকে।
দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন । সাধারণ জনগণকে যেকোন সন্দেহজনক কার্যকলাপের বিষয়ে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আটককৃত ২০জন লোক সাধারন কৃষক ও শ্রমিক বলে এলাকা থেকে জানা যায়, আটককৃতরা হলেন ১/ মেহেদী (২০) পিতা মুর্শিদ মিয়া, ২)সবুজ মিয়া( ২৩) পিতা কামাল মিয়া,৩)রহমত পিতা তাইজুদ্দিন, ৪)উজ্জল (৩২) পিতা সিজু মিয়া, ৫)রোমান মিয়া( ২৫)পিতা হোয়াজ আলী, ৬)ফরহাদ( ১৭)পিতা আপন মিয়া. ৭)জহিরুল মিয়া পিতা আব্দুল হান্নান. ৮)আনোয়ার মিয়া পিতা নছর মিয়া ৯)হানিফ মিয়া পিতা আহার আলী ১০)বিপ্লব মিয়া পিতা আহার আলী
১১)ইমরান মিয়া পিতা তাজুল ইসলাম ১২)আলামিন পিতা আবু মিয়া. ১৩) মলায় মিয়া পিতা মোকাদ্দাস মিয়া. ১৪)এরশাদ মিয়া পিতা কানু মিয়া ১৫)শাওন মিয়া পিতা জামাল মিয়া. ১৬)মিজান মিয়া পিতা আলেক মিয়া। ১৭)হাবিব মিয়া পিতা খায়ের মিয়া ১৮)হৃদয় মিয়া পিতা নছর মিয়া। ১৯)মিটন পিতা আরাধন।