রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবন কাচ্চি ভাই বিরানি রেস্টুরেন্টের আগুনে অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন,১২ জনের অবস্থা আশঙ্কা জনক। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
রাত দুইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তাঁদের মরদেহ এই দুই হাসপাতালে আছে। এর বাইরে আরও মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তাঁদের সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এর আধা ঘণ্টা পর পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে সাংবাদিকদের জানান, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালেও একজনের মরদেহ রয়েছে। সব মিলিয়ে ৪৪ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন।শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল রাতে বেইলি রোডের যে ভবনে আগুন লেগেছে, সেটি সাততলা। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামের খাবারের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় একটি পোশাকের দোকান ছাড়া ওপরের তলাগুলোতেও রয়েছে খাবারের দোকান। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে খাবারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় হয়। অনেকেই পরিবার নিয়ে সেখানে খেতে যান।
আগুন লাগার কারন অনুসন্ধান তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্তারা বলছেন রেস্টুরেন্টের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্র পাত।ভবনের সিড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাহির হওয়ার জুরুরি শিড়িও দৃশ্যমান না থাকায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ পর্যন্ত ৩৮ জনের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই জনের অবস্থা এত খারাপ লাশ সনাক্ত করা যাবে না।
রাজধানী বাসীর একটাই দাবী আর কত লাশ হলে সরকারের টনক নড়বে।