নবীনগরে বৃদ্ধ শহীদুল ইসলামের জায়গা দখলের অভিযোগ
মোঃ খলিলুর রহমান খলিলঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন ের রসুলপুর গ্রামের ৭১ বছরের অসহায় বৃদ্ধ শহীদুল ইসলামের জায়গা দখলের অপচেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শহীদুলের প্রতিবেশী বসু মিয়ার ছেলে কাতার ফেরত আজগর আলী জোর পূর্বক শহীদুলের জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, অথচ শহীদুল তার পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তির ৬শতক জায়গার উপর বাড়ীঘর নির্মান করে পিতার আমল থেকেই বসবাস করছেন।শহিদুলের পিতা আব্দুর রহমান আলিফ কারির সম্পত্তির সাড়ে ছয় শতক জায়গা ভুল বসতো কারীর ছয় ছেলের স্থলে চার ছেলের নামে উঠে।চার ছেলে ছালেক মিয়া,ইকু মিয়া,গোলাপ মিয়া,কাশেম মিয়ার নামে উঠে। খতিয়ান থেকে শহীদুল ও আবুল কালামের নাম বাদ পড়ে।
চারজনের নামে সাড়ে ছয়শতক জায়গার স্থলে ভুলে রেকর্ড এগারো শতক উঠে। আবদুল কারির চার ছেলে প্রতারণা করে প্রতিবেশী আজগর আলীর নিকট সাড়ে ছয়শতক জায়গা বিক্রি করে দেন।আজগর আলীও প্রতারণা করে সাড়ে ছয়শতক কিনলেও রেকর্ড এ এগারো শতক জায়গা থাকায় এগারো শতক জায়গা দলিল করে ফেলেন।অথচ স্বরে জমিনে দেখা যায় মূলত ম্যাপে জায়গা আছে সাড়ে ছয়শতক।সাড়ে ছয়শতক এর জায়গার এগারো শতক উঠায়,আব্দুল কারির ছয় ছেলের স্থলে চার ছেলের নামে খতিয়ান হওয়ায় এ দুটি বিষয়ে সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা চলা অবস্থায় আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখি আজগর আলী দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শহীদুল ৭৬৭ দাগের এই সাড়ে ছয়শতক জায়গার মধ্যে ছয় ভাগের এক ভাগ ১.৮০ পৈতৃক সম্পত্তি মূলে দখলে আছেন,আব্দুল নূর ও গোলাপ মিয়ার নিকট থেকে ১.৮৩ ও প্রতিবেশী আবুল কালামের ছেলে আলামিনের নিকট থেকে ১.৭৫ জায়গা ক্রয় করেন,শহীদুলের চাচা গফুর মিয়ার স্ত্রী মোমরাজ নেছা শহীদুলকে দান করেন ৭৫ পয়েন্ট জায়গা। সর্বমোট ছয়শতক জায়গার মালিক শহীদুল। শহীদুল এই প্রায় ছয়শতক জায়গার উপর ছাপড়া ঘর তুলে কোন রকমে সংসার চালায়,অথচ আজগর আলী শহীদুলের জায়গার দাগ ও তার ক্রয়কৃত দাগ এক হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে শহীদুলকে জোর করে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছেন। শহীদুল প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে আজগর আলী কে মোবাইলে কল দিলে তিনি বলেন আমাদের এই বিষয়টি ফয়সালা হয়েছে আমি শহীদুল ইসলামের জায়গা বুঝিয়ে দিবো।