রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুইজন গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম / ১৬০৯ বার
আপডেট : শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫

21

সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে দুইজন গ্রেফতার

মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃনরসিংদী জেলার রায়পুরার চরাঞ্চলের চাঁন পুর ইউনিয়নের মোহিনীপুর গ্রামে দাঙ্গা চলছে দীর্ঘ চার যুগ ধরে।যুগের পর যুগ চলা এই দাঙ্গায় ভয়ানক ভাবে মানুষ হত্যা করা হয় পাখির মতো। এখানে মানুষ হত্যার বিচার হয় না আদালতে, যুগের পর যুগ চলা এই হত্যা মামলায় আদালতে হত্যা মামলা হলেও ছয় মাস একবছর পর এই হত্যা মামলায় আপোষের নামে মানুষকে পণ্যের ন্যায় দাম করে হত্যা মামলার আপোষনামা হয়।
গত রমজান মাসের ২০ তারিখ সকাল ছয়টায় সামসু মেম্বারের গোষ্ঠীর লোকজন বড় বাড়ীর খোরশেদ গ্রুপের লোকজনের উপর আকস্মিক বর্বরোচিত হামলা চালায়।দেশিয় অস্ত্র, পিস্তল দিয়ে হামলা করে হাজী বারেক মিয়ার ছেলে বাশার(৩৫),খোরশেদ মিয়ার ছেলে আমিন হোসেন খুন হয়।দুই গোষ্ঠীর মধ্যে মূলত আদিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়।সামসু মিয়া এলাকায় এতোটাই ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন যে সামসু মিয়া হত্যা মামলার আসামি হয়েও এলাকায় অবস্থান করছেন আর এই দুটি হত্যা মামলার বাদী খোরশেদ মিয়া ও কালাম মিয়া গোষ্ঠীর লোকজন বাড়ী থেকে বিতারিত হয়ে পালিয়ে জীবন ধারণ করছেন।আমিন হত্যার বিচার চেয়ে খোরশেদ মিয়া রায়পুরা থানায় ৩৫জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।বাশার হত্যার জন্য বাদী হয়ে কালাম রায়পুরা থানায় ৪৪ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আবু কালাম বলেন সামসু মেম্বার দুটি হত্যা মামলার এক নং আসামি হয়েও এলাকায় অবস্থান করে বাদীদের হুমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে।বাদীর বাড়ী ঘরে লুটতরাজ চালাচ্ছে। সামসু মেম্বারের লোকজন নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন এর নবীপুর ও চরলাপাং এ অবস্থান করে বাদীদেরকে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসতেছে।কালাম মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী আজ ২৩ মে শুক্রবার নবীপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে সজিব(২৪)পিতা মজনু,ওমর কাজী(৫৫) পিতা মৃত আলী নেওয়াজ উভয়ের বাড়ী মোহিনী পুর কে আটক করে।
বাশার হত্যার বাদী আবু কালাম বলেন আমরা বার বার আবেদন করলেও আসামিরা গ্রেফতার হচ্ছে না, আমরা বাড়ীতে অবস্থান করে জীবন ধারণ করতে চাই, আসামিদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ