মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা ভূমি অফিসে চেইনম্যান পদে কর্মরত কবির হোসেনকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তিনি গত ৮ বছর ধরে সরকারি চাকরিতে বহাল রয়েছেন এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
অথচ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা কবির হোসেন নিজেকে আসল নিয়োগ প্রত্যাশী দাবী করে বৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত কবির হোসেন এর নামে জেলা প্রশাসকের বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন।অথচ কর্মরত কবির হোসেনের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র,নিয়োগপত্র ও হাইকোর্টের রিটের কোথাও অভিযোগকারী কবিরের নাম ঠিকানার মিল খোজে পাওয়া যায়নি।বৈধভাবে কর্মরত কবির হোসেন এর পিতার নাম রোস্তম আলী, গ্রাম জয়দেবপুর পোস্ট শালদা নদী,উপজেলা কসবা ঠিকানাটির সাথে পরীক্ষার প্রবেশ পত্র, নিয়োগ পত্রের মিল রয়েছে।অথচ অভিযোগকারীর পিতার সাথে ও নিজের নামের সাথে শুধু মিল থাকায় বৈধ ভাবে কর্মরত কবির হোসেনের নামে অভিযোগ তুলে বসেন।
বর্তমানে কর্মরত কবির হোসেন এর প্রবেশপত্রে দেখা যায় তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের শাখা -১২ থেকে ৭/০৮/২০০৪ তারিখে চেইনম্যান পদের জন্য ইস্যুকৃত প্রবেশপত্র পেয়ে ২২/০৯/২০০৪ ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন -১)অফিসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেন।
পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ফলাফল প্রকাশের আগেই নিয়োগ কার্যক্রম দীর্ঘ বার বছর স্থগিত হয়ে যায়।নিয়োগ প্রত্যাশীদের হাইকোর্ট এ নিয়োগের জন্য রিটের ভিত্তিতে রাইট পিটিশন ১৪৪২ অফ ২০১৫ সালে নিয়োগের নির্দেশনা দেন।রাইট পিটিশনেও বর্তমানে কর্মরত কবির হোসেন এর নাম পিতার নাম ও ঠিকানা ৯৩ নাম্বার সিরিয়ালে উল্লেখ আছে।
২৬/১০/২০০৪ নিয়োগ কমিটির সভায় সুপারিশ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২(মাঠ প্রশাসন) এ ১৬/০২/২০১৭ তারিখের ১৫৫ নং স্মারকের নির্দেশ অনুযায়ী বর্তমানে কর্মরত কবির হোসেনকে নিয়োগপত্র ইস্যু করেন।
২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী নিয়োগপত্র পেয়ে একই সালের একই মাসে ২৭ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেন।
তিনি কর্মে যোগদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ভূমি অফিস, বাঞ্ছারামপুর ভূমি অফিসেও কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি নবীনগর উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত আছেন।
বর্তমানে কর্মরত কবির হোসেন বলেন আমি আমার পেশাগত দায়িত্ব সততা সাথে পালন করছি,আমার যাবতীয় নিয়োগের কাগজপত্র আপনাদের নিকট পেশ করলাম, আমার বিষয়ে অভিযোগ করেছে এই বিষয়ে তদন্ত চলছে, আমি বৈধ চাকরিজীবী,আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করায় আমি পরবর্তীতে অভিযোগকারী কবির হোসেন এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।
অভিযোগকারী কবির হোসেন এর দাবী ২০০৪ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে চেইনম্যান পদে মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্তদের তালিকায় (রোল নং: ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১৮০) স্থান পান তিনি। তার নাম ও পিতার নাম (মৃত রুস্তম আলী) ব্যবহার করে এক ব্যক্তি নবীনগর উপজেলা ভূমি অফিসে ওই পদে চাকরি করছেন।
এই অভিযোগের সাথে বর্তমানে কর্মরত কবির হোসেন এর নিয়োগের তথ্যাবলতিতে কোন অভিযোগের মিল খোজে পাওয়া যায়নি।
, অভিযুক্ত কবির হোসেন এর ঠিকানা কসবা উপজেলার শালদানদী জয়দেবপুর। তার পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার যাবতীয় তথ্যেও এই ঠিকানার মিল রয়েছে।অথচ সরাইল উপজেলার পরমানন্দপুর গ্রামের কবির হোসেনের নাম ও পিতার নামের সাথে মিল থাকায় তিনি অদ্ভুত ভাবে অভিযোগ তুলেছেন।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী বলেন, জেলা প্রশাসক স্যার এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেছেন এখনো আমি তদন্তের নির্দেশনা পায়নি,নির্দেশনার পর তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।