কৃষক
খলিল পরদেশী
বৈশাখ- জৈষ্ঠ্যমাসে ধান আসে উঠানে
কৃষক কৃষাণীর মুখে হাসি ফুটে সোনালী ধানে।
কৃষক কৃষানীদের চোখ থাকতো সবার গোয়ালঘরে
ধান মাড়ায়ে দরকার হতো গোটা দশেক গরু মহিষের।
প্রযুক্তির ছোঁয়াতে কৃষিতে সনাতন পদ্ধতি যাদুঘরে
মাড়ায় করতে এখন প্রয়োজন হয়না গরু মহিষের।
সারও শ্রমিকের সংকট ও চড়া দামে
হারিয়েছে আগ্রহ কৃষক ধান চাষ করতে।
ইরি ধান আসাতে হাওর অঞ্চলে ধান ভাসে না আর বন্যাতে।
ইরির পর উনত্রিশ, সাইত্রিশ, উননব্বইও কাটারী কত উন্নত ধান কৃষিতে।
কানি প্রতি ধান আসে ত্রিশ চল্লিশ মণ তারপরে অনাগ্রহ কৃষিতে।
লোকসংকটে, বর্তমান প্রজন্ম এখন যে বসবাস করে মধ্যম আয়ের দেশে
কৃষি কাজ না করলে কি যায় আসে তাতে।
দেশের আয়ের আশি শতাংশ আসে কৃষি থেকে
কৃষককে অবজ্ঞা করে দেশ চিন্তা করা যায় কি সহজে।
কৃষি থাকুক,কৃষক বাচুক সম্মানে ও সমৃদ্ধিতে,
দেশ হাসবে দেশ বাচবে আনন্দে আল্লাধে।