শিরোনাম :
কোম্পানীগঞ্জ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ইফতার মাহফিল ও কাউন্সিল অধিবেশন-২০২৫ অনুষ্ঠিত নবীনগরের রতনপুর ও খাগাতুয়া গ্রামের বিলে পুকুর পাড়ের একটি গাছে সাথে যুবকে হাত বাঁধা ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার। কোম্পানীগঞ্জে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিব ও সম্পাদক নাছিরকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে ছাত্রদলের আনন্দ মিছিল সাধুপাড়া রেজভীয়া দরবার শরীফে ইফতার ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত ইসলামবাগ মাদ্রাসায় হাফিজি বাচ্চাদের নিয়ে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। নোয়াখালীতে ছাত্রদল নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা ফাঁস, থানায় জিডি পাকুন্দিয়ায় জিয়া উদ্দিন বাদশার মা স্মৃতি পাঠাগারের উদ্যোগে এতিমদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নবীনগর শাহবাজপুরে জামায়াতের আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত। আলমনগর দারুল উলুম ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ২০নং কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার পার্টি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

বিলুপ্তপ্রায় কাচারি ঘর

প্রতিনিধির নাম / ১৮ বার
আপডেট : মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫
Oplus_131072

মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃএকসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে প্রায় প্রতিটি বাড়ী বা জনপদের অধিকাংশ গৃহস্থের বাড়িতেই ছিল কাচারি ঘর। কাচারি ঘর ছিলো গ্রাম বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য,কৃষ্টি ও সংস্কৃতির একটি অংশ।এক একটি কাচারি ঘর শত বছরের ইতিহাস বহন করে।কালের বিবর্তনে আজ কাচারি ঘর বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বায়নের যুগে নবীনগরের প্রতিটি জনপদে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে। ড্রয়িং রুমের আদি ভার্সন কাচারি ঘর। এখন আর গ্রামীণ জনপদে কাচারি ঘর দেখা যায় না।
আদিকালে মূল বাড়ি থেকে একটু দূরে আলাদা খোলামেলা জায়গায় কাচারি ঘরের অবস্থান ছিল । অতিথি, পথচারী কিংবা সাক্ষাৎপ্রার্থীরা এই ঘরে এসেই বসতেন। প্রয়োজনে এক-দুই দিন রাত যাপনেরও ব্যবস্থা থাকতো কাচারি ঘরে।
কাচারি ঘর ছিল বাংলার অবস্থাসম্পন্ন ও মধ্যবিত্তের গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক। চারিদিকে ঢেউ টিনের বেড়া সঙ্গে কাঠের কারুকাজ করে উপরে টিন অথবা ছনের ছাউনি থাকতো কাচারি ঘরে। যা অতি প্রাকৃতিকবান্ধব পরিবেশ দিয়ে আবেষ্টিত ছিল।

তখনকার যুগে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকলে কাচারি ঘড় ছিল আরামদায়ক শীতল পরিবেশ। তীব্র গরমেও কাচারি ঘরের খোলা জানালা দিয়ে হিমেল বাতাস বইতো। আলোচনা, শালিস বৈঠক, গল্প-আড্ডার আসর,বসতো কাচারি ঘরে।

আগের দিনে নিজেদের পারিবারিক অনুষ্ঠানে মানুষজন বেশি হলে ছেলেরা কাচারি ঘরে থাকতেন আর মেয়েরা থাকতেন ভিতর বাড়িতে।
বর্ষা মৌসুমে গ্রামের লোকজনদের উপস্থিতিতে কাচারি ঘরে বসতো পুঁথি পাঠ ও জারি গান । পথচারীরা এই কাচারি ঘরে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন। বিপদে পরলে রাত যাপনের ব্যবস্থা থাকতো কাচারি ঘরে।

গৃহস্থের বাড়ির ভিতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাচারি ঘরের অতিথিদের জন্য। আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার)ও আররি শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য কাচারি ঘড়ের অবদান অনস্বীকার্য। মাস্টার ও আররি শিক্ষকগণ কাচারি ঘরে থাকার ব্যবস্থা থাকার ব্যাবস্থা করা হত।

কোন কোন বাড়ির কাচারি ঘর সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হত।

জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে কর্মচারীদের খাজনা আদায়ের জন্য কাচারি ঘর ব্যবহার করা হতো। জমিদারী প্রথার সময়ও খাজনা আদায় করা হতো গ্রামের প্রভাবশালী গ্রাম্য মোড়লের বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে বসে। এখন আর কাচারি ঘর তেমন চোখে পরে না।

নবীনগরের আলমনগর, বগডহর,আলিয়াবাদ ,শাহপুর, সাহেবনগর,রসুল্লাবাদ ও ইব্রাহিমপুর সহ বিভিন্ন এলাকার কিছু গ্রামে অত্যন্ত জীর্ণ শীর্ণ অবস্থায় কাচারি ঘর দেখতে পাওয়া যায়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ