শিরোনাম :
রুপসা উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দিলেন সানজিদা রিকতা নোয়াখালীতে ভাড়া নিয়ে বিতন্ডায় প্রাণ গেলা অটোচালকের কক্সবাজার টেকনাফ র‍্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা অপহরণ,সেনা সদস্যসহ আটক ৩ হাজী আব্দুল মজিদ ফাউন্ডেশনের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত স্মৃতি রানী শীলের মৃত্যুতে মহা গীতা যপ্রয়াতাজ্ঞ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদ পূর্ণমিলনী ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সোনারগাঁয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি হত্যার চেষ্টা থানায় অভিযোগ। শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে দক্ষিণ মাদার্শা সেবাশ্রমে তিনদিনব্যাপী মহোৎসব শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর ১৩৫তম তিরোধান দিবস চট্টগ্রামে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপিত নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ড শাখার চরলাপাং এ এডভোকেট এম এ মান্নান এর ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় জনতার ঢল
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০৪:৪৬ অপরাহ্ন

আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা উৎপাদনে ফিরেছে ,বন্ধ রয়েছে ১৯টি

প্রতিনিধির নাম / ৩৬৪ বার
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আশুলিয়ায় অধিকাংশ কারখানা উৎপাদনে ফিরেছে ,বন্ধ রয়েছে ১৯টি

মোঃ মনির মন্ডল,সাভারঃ শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার মধ্যদিয়ে শ্রমিক অসন্তোষের অবসান ঘটেছে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে উৎপাদনে ফিরেছে অধিকাংশ তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তবে বেতন সংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় ১৯টি কারখানা এখনও বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, জিরাবো, কাঠগড়া, ঘোষবাগ এলাকা ঘুরে পোশাক কারখানাগুলোতে স্বতস্ফূর্তভাবে কাজে যোগ দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের।

শিল্প পুলিশ-১ ও শ্রমিক নেতারা জানান, গতকাল শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিজিএমইএ। আজ সকাল থেকেই পোশাক শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে কয়েকটি কারখানায় আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় ১৯টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সাধারণ ছুটি রয়েছে ৫টি কারখানায় এবং শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩(১) ধারায় ১৪টি কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ কারখানাগুলোর মধ্যে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা, তবে কিছু খাদ্য প্রস্তুত, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতসহ অন্যান্য পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু জানান, শ্রমিকদের মাসিক হাজিরা বোনাস বৃদ্ধি, টিফিন ও রাত্রিকালীন ভাতা বৃদ্ধি, নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নসহ ১৮টি দাবি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষের সম্মতির পর শিল্পাঞ্চলের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দাবিগুলো মানা বা বাস্তবায়নের তথ্যটি অনেক কারখানার শ্রমিকেরা মালিকপক্ষের কাছ থেকে শুনতে চাইছেন। যেসব কারখানা বন্ধ বা কারখানায় শ্রমিকদের নিয়ে মালিকপক্ষের শঙ্কা রয়েছে, সেসব কারখানার মালিকপক্ষ, সরকারের প্রতিনিধি ও শ্রমিকপক্ষ মিলে আলোচনা করলে সমাধান হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সারোয়ার আলম জানান, আশুলিয়ায় শ্রম আইন-২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা। এ ছাড়া ৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি রয়েছে। আর্থিক সংকটের কারণে বেতনসংক্রান্ত জটিলতাসহ কিছু সমস্যা থাকায় কারখানাগুলো বন্ধ রেখেছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। বন্ধ কারখানাগুলোর অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। তবে চামড়াজাত পণ্য, খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারী কারখানাসহ অন্য তিন থেকে চারটি কারখানা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শিল্প কারখানার নিরাপত্তায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সেনাবাহিনী টহল অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ