🔴নবীনগরে ভিটিবিষাড়া থেকে ৪০বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া হেলেনার সন্ধান মিললো পাকিস্তান করাচীতে!
মো আলাউদ্দিন আকাশ ঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের ভিটিবিষাড়া গ্রামের প্রয়াত জিবন মিয়া ও হালিমা বেগম দম্পতির বড় মেয়ে হেলেনা আক্তার (৫০) প্রায় ৪০বছর আগে ভিটিবিষাড়া গ্রাম থেকে হাড়িয়ে যাও নানাভাবে দীর্ঘদিন খোজাখুজি করে না পেয়ে সবাই ভেবেছিলো হেলেনা মারা গেছে। আল্লাহপাকের অশেষ রহমতে হেলেনা বেঁচে আছে এবং ফিরতে চায় নিজ দেশে নিজ গ্রামে মায়ের বুকে বক রেখে ৪০বছরের অশ্রজলের সমাপ্তি ঘঠাতে অধীর আগ্রহে দিনাতিপাত করছে। খোজ নিয়ে জানা যায় ১৯৮৫/৮৬ইং সালের দিকে হঠাৎ একদিন বাড়ির কাউকে কিছু না চাকুরী করার মানসিকতা নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য বাড়ি ছেরে চলে যায়, পরবর্তীতে হেলেনা কে দীর্ঘদিন খোজাখুজি করে কোন সুরাহা না পেয়ে হেলেনার মা বাবা আত্মীয়স্বজনরা ভেবেছিলো হেলেনা হয়তো বেঁচে নেই। হেলেনা কে মরার আগে একনজর দেখার ব্যাকুল আশা নিয়ে মৃত্যেবরণ করেন বৃদ্ধ পিতা জিবন শেষ দেখা ও শেষ কথার অপূর্ণ বাসনা নিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত। এদিকে হেলেনার বৃদ্ধ মা হালিমা বেগম (৮০) এখনো বেঁচে আছেন প্রতিদিনই নিয়ম করে কথা বলছেন পাকিস্তানের করাচীতে সংসার যাপন করা হেলেনা আক্তার। প্রায় ৪০বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া হেলেনা কখন বাড়িতে আসবেন কখন বৃদ্ধ মা বোন পাড়াপ্রতিবেশদের দেখবেন সে অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
হাড়িয়ে যাওয়া হেলেনার সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, একটি দালাল চক্র অর্থের বিনিময়ে পাকিস্তানের করাচীতে বিক্রি করে দেয় হেলেনা কে, করাচীর যে ছেলের কাছে হেলেনা কে বিক্রি করে দেয় সে ছেলের সাথেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আজ পুরোপুরি সংসারী ও সুখী দাম্পত্য জিবনে ০৫সন্তানের জননী হেলেনার ০২ মেয়ের জামাই ইউরোপ থাকে, মূলত এই ইউরোপ প্রবাসী মেয়ের জামাই বাংলাদেশে হেলেনার পৈতিক নিবাসের সন্ধান করে এবং হেলেনার বৃদ্ধ মায়ের সাথে অনলাইনে যোগাযোগের ব্যাবস্হা করে দেয়। হেলেনার সাথে কথা বলে আরো জানা যায় হেলেনার মা বাবার ভোটার আইডি কার্ড না থাকায় করাচীতে হেলেনার কোন আইডি কার্ড ও পাসপোর্ট হয়নি যেকারনে দেশে আসা টা প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাড়িয়েছে, এদিকে হেলেনার বৃদ্ধ মা ও বোনেরা আনন্দে আত্মহাড়া ও আবেগাপ্লুত হয়ে ব্যাকুলপ্রায় কখন সেই মধুর লগ্ন হবে বুকে জরিয়ে ধরবে ৪০বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া হেলেনা কে। পাকিস্তানের করাচীর হেলেনার স্বামীর পরিবার ও বাংলাদেশের ভিটিবিষাড়ার হেলেনার মা বোন শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন- আমরা সম্মিলিত ভাবে চেষ্টা করছি, যতদ্রত সম্ভব যাবতীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে ৪০বছর আগে হাড়িয়ে যাওয়া মা মেয়ের যুগল মিলন ঘঠাবো।
রিপোর্টার- মো. আলাউদ্দিন আকাশ।
মোবাইল- ০১৭৯৪০০১১৪৫