শিরোনাম :
নবীনগর ফল মেলা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারা বিতরণ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক আধার মানিক শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ বাড়ী নিবন্ধিত সিলেট মদন মোহন ছাত্রদলের সভাপতি সদরের অপু প্রত্যয় লিডারশীপ কর্মশালা-২৫ সম্পন্ন কধুরখীল শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী গীতা শিক্ষা বিদ্যাপীঠে চর্তুষ্প্রহরব্যাপী মহানাম যজ্ঞ ও মহোৎসব শামীম ওসমান পরিবারের বিরুদ্ধে গুম ও অবরুদ্ধের অভিযোগে নরসিংদীতে মনসুর আহমেদ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসের জায়গা নেই – এড. এম এ মান্নান ধানের শীষের মনোনয়ন পাবো বলে বিশ্বাস করি ইনশাআল্লাহ – কাজী নাজমুল হোসেন তাপস রাস্তার জায়গা নিয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গর্ব, একজন শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত।

প্রতিনিধির নাম / ৭৪৮ বার
আপডেট : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

আজ এমন একজন মহান ব্যক্তটিকে নিয়ে লিখতে যাচ্ছি, যাহার বর্ণাঢ্যময় জীবনের চিত্র ধরে তোলা আমার জন্য খুবই দুরূহ।

একজন ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত, যিনি ২ নভেম্বর ১৮৮৪ সালে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাম রাইল গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত কায়স্ত হিন্দু পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। পিতার নাম জগবন্ধু দত্ত। ২৯ মার্চ ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের নির্মম নির্যাতনে কুমিল্লা সেনানিবাসে শহীদ হোন।

শিক্ষা জীবনে, নবীনগর হাইস্কুল থেকে ১৯০৪ সালে প্রবেশিকা। কুমিল্লা কলেজ থেকে ১৯০৬ সালে এফ এ। কোলকাতার রিপন কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯১০ সালে বিএফ পাস করেন।

তিনি ২১ বছর বয়সে মুরাদনগরের পূর্বধইর গ্রামের সুরবালা দাসের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন। তিনি সাত কন্যা ও দুই পুত্রের জনক ছিলেন।

পেশা জীবনে প্রথমে শিক্ষকতা, পরে ১৯১১ সালে কুমিল্লা জেলা বারের সদস্য হিসাবে আইন পেশায় নিয়োজিত হোন। ১৯৩৬ সালে জেলা বোর্ডের নির্বাচিত সদস্য। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে অংশ গ্রহন। স্বদেশী আন্দোলন, ভারত ছাড় আন্দোল ও অসহযোগ আন্দোলনে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করেন। ১৯৩৭ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের সদস্য এবং পরবর্তিতে কংগ্রেস সমর্থনে পূর্ববঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হউন।
১৯৪৭ সালে পাকিস্তানের রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহন। পাকিস্তানের সংবিধান রচনার জন্য তিনি গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হোন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গণপরিষদের সভায়, প্রথম বাঙগালি হিসাবে, ইংরেজী ও উর্দুর পাশাপাশি বাংলাকে রাষ্ট্রিয় কার্যক্রমে ব্যবহারের প্রস্তাব করেন এবং রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে বাংলা চাই দাবী তোলেন।
১৯৫৬ সালে খান আতাউর রহমানের মন্ত্রীপরিষদে স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।
পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর ১৯৬০ সালে তাহার উপর ‘ এবডো প্রয়োগ করা হয়। ১৯৬৫ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময় উনাকে গৃহবন্দি করা হয়। তখন থেকে যদিও তিনি স্বক্রিয় রাজনীতি থেকে বিরত ছিলেন। তদুপরি বাঙালী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অনন্য ভুমিকা পালন করেন।
এই কিংবদন্তীর নায়ক, আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া তথা বৃহত্তর কুমিল্লার গর্ব ধীরেন্দ্র নাথ দত্তকে আমরা কয়জনে স্মরণ করি?
দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ এই মহান ব্যক্তটিকে পাকিস্তানী আর্মিরা ১৯৭১ সালে মার্চ মাসে উনার কনিষ্ঠ ছেলে দিলীপ দত্ত সহ গ্রেফতার করেন। কুমিল্লা সেনা নিবাসে চলে উনাদের উপর অমানবিক নির্যাতন। তাহার হাত পা ভেঙে, চোখ তোলে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ঠিক একই ভাবে পুত্র দিলীপকেও হত্যা করে। দেশ মাতৃকার প্রতি ভালবাসার জন্য পিতাপুত্র দুজনই শহীদ হোন।
ভাষা দিবসের মাসে ক্ষণজন্মা এই ভাষা সৈনিক স্বর্গীয় ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের প্রতি রইল গভীর শ্রদ্ধা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে কপি

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ