মোঃখলিলুর রহমান খলিল জেলা প্রতিনিধি
কৃষ্ণনগর আব্দুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ এর এসএসসি ২০১৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী সোনিয়া আক্তার
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ডাবল স্বর্ণ পদক গ্রহন করেন। কৃষ্ণ নগরের কৃতি সন্তান সোনিয়া আক্তারকে আজ বুধবার সকালে তাঁর জন্মভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে এলাকাবাসির পক্ষ থেকে ঘটা করে এক ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালে এসএসসি পাশ করা দরিদ্র কৃষক পরিবারের সন্তান, সংবর্ধিত সোনিয়া আক্তার বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ল্যাকচারার পদে কর্মরত রয়েছেন।
জানা গেছে, কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার স্কুল এন্ড কলেজ এর কলেজ ভবনের হল রুমে বুধবার বেলা ১১টায় ওই ব্যতিক্রমী ‘নাগরিক সংবর্ধনা’ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষ্ণনগর এলাকাবাসির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন নবীনগর পৌরসভার মেয়র এডভোকেট শিব শংকর দাস।
এলাকার বিশিষ্ট নাগরিক মো. আলাউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু মোছা, নবীনগর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ সারোয়ার বাতেন, কৃষ্ণনগর আবদুল জব্বার উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কাজী মো. মলাই মিয়া, অধ্যক্ষ নিয়াজ মো. কাজল, প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌসুর রহমান, সহকারি প্রধান শিক্ষক মো. মনির হোসেন, নবীনগর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীলীগ নেতা বিপুল চন্দ্র সাহা, সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, জামাল হোসেন পান্না, নাইমূর রহমান প্রমুখ।এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা, কৃষ্ণনগরের সন্তান জাহাঙ্গীর আলম খান।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে দর্শকসারি থেকে সংবর্ধিত কৃতী কন্যা সোনিয়া আক্তারের দরিদ্র কৃষক বাবা আবুল কাশেম ও গৃহিনী মা বরকতুন্নেছা বেগমকে তুমুল করতালির মাধ্যমে মঞ্চে এনে প্রধান অতিথি ও কৃতী কন্যার দুই পাশে বসানো হয়। এসময় সংবর্ধিত কৃতী কন্যা ও তার বাবা আনন্দে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ দৃশ্য অবলোকন করে গোটা মঞ্চের অতিথিবৃন্দসহ অনুষ্ঠানে আগত অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন।এলাকা বাসী বলেন কৃতি সন্তানদের সম্মান দিলে কৃতি সন্তানের জন্ম হয় আমাদের প্রত্যাশা আগামী দিনেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।