প্রেম করে বিয়ে করে লাশ হয়ে বাড়ী ফিরলেন জান্নাত
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃচলতি বছরের শুরুতে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দড়িকান্দি ইউনিয়নের বাহাদুর গ্রামের আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে মোঃ জাবেদ মিয়ার সাথে নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের কালা মিয়ার মেয়ে জান্নাতের (১৯)।
প্রেমের সম্পর্কের কিছুদিন পর জাবেদ মিয়া অসৎ উদ্দেশ্য সাধনের ষড়যন্ত্র করে বাড়ীথেকে পিতা মাতাকে অবগত না করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে।
বিয়ের পরপর বউ জান্নাতকে স্বামী জাবেদ যৌতুক দিতে চাপ দেন।
দুলক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করলে জান্নাত বাড়ি থেকে ত্রিশ হাজার টাকা নিলে মাদকাসক্ত স্বামী জাবেদ মিয়া জান্নাতকে বিয়ের মাত্র তিন মাস পর গত ১৬/১১/২০২৫ তারিখে সন্ধ্যায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন।প্রতিবেশীরা আহত জান্নাতকে দ্রুত বাঞ্ছারামপুর সদর হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জান্নাতকে মৃত ঘোষণা করেছে।
বাঞ্ছারামপুর থানাপুলিশ ময়না তদন্ত শেষে জান্নাতের লাশ জান্নাতের পরিবারকে বুঝিয়ে দেন। জান্নাতের পরিবার ধর্মীয় রীতিনীতি অনুসারে তার নিজ গ্রাম দৌলতপুরে তাকে দাফন কাফন সম্পন্ন করেন।
জান্নাতকে হত্যার ঘটনায় গত ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে জান্নাতের বাবা কালা মিয়া বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় উপস্থিত হয়ে ৩০৬ ধারায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যা মামলার প্রধান আসামি জান্নাতের স্বামী জাবেদ মিয়া এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ ইতিমধ্যে জান্নাতের শশুর আব্দুল মালেক ও শাশুড়ি পারভীন বেগমকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।
জান্নাতের পরিবার এ ঘটনার প্রধান আসামি জাবেদ কে গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন। এমন ঘটনা পুনরাবৃত্তি যেন না হয় প্রশাসন যেন দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসেন এই দাবি করছেন এলাকাবাসী।