নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতে অপহরণ এলাকাবাসী আতঙ্কিত
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের উপস্থিতিতেই ডিজিএফআই পরিচয়ে অপহরণ, ৩ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি,অবশেষে উদ্ধার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতিতেই সৌদি আরব প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম মালুর ছেলে রিফাত মিয়াকে (১৯) অপহরণ করেছে একদল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্তরা নিজেদের ‘ডিজিএফআই’র সদস্য পরিচয় দিয়ে তারা রিফাতকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন পরিবারের কাছ থেকে তিন কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে ৭ এপ্রিল (সোমবার) রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, একটি হাইএক্স গাড়িতে করে আসা ১০-১২ জনের একটি দল প্রথমে প্রধান ফটকের তালা ভাঙার চেষ্টা করে। তালা না ভাঙায় একজন দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে গেট খুলে দিলে বাকিরাও প্রবেশ করে বাড়ির আঙিনায় ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার আঁচ পেয়ে শহিদুল ইসলাম দ্রুত নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে এলাকায় মাইকিং করার অনুরোধ করেন। তবে অভিযোগ রয়েছে, ওসি মাইকিং করতে নিষেধ করেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও তারা দুর্বৃত্তদের কার্যক্রম প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়। পুলিশের সামনেই দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায় এবং একপর্যায়ে রিফাত মিয়াকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এইদিনই রাত ৩টার দিকে শহিদুল ইসলামের ফোনে অপহরণকারীরা কল করে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরদিন ৮ এপ্রিল সকালে রিফাতের মায়ের ফোনে আবার কল দিয়ে মুক্তিপণের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩ কোটি টাকা দাবি করা হয়। অপহরণকারীরা নিজেদের ‘ডিজিএফআই’র সদস্য পরিচয় দেয়।
শহিদুল ইসলাম বলেন, “আমি পুলিশকে ফোন করে সাহায্য চেয়েছি, মাইকিং করার কথা বলেছি—কিন্তু ওসি নিষেধ করেন। পুলিশ সামনে থেকেও কোনো বাধা দেয়নি। এখন আমার ছেলের জীবন নিয়ে আমরা শঙ্কায় আছি।”
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মো: কামাল মিয়া, আবু কালাম আজাদ, কামাল খন্দকারসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, অপহরণকৃত যুবককে উদ্ধার করা হয়েছে। এবং একজনকে আটক করা হয়েছে।এছাড়া পুরোপুরি ঘটনাটি আমার জানা নেই তবে তদন্ত চলছে।
রিফাতকে কেন নবীনগর থানা অথবা সেনা ক্যাম্পে রাখার জন্য পরামর্শ না দিয়ে নিরাপদে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করল পুলিশ?
পুলিশ ঘটনা স্থলে যাওয়ার আগে কেন ডিজিএফআইয়ের উপস্থিতি সত্য কিনা বা ভুয়া কিনা এ বিষয়ে পুলিশ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে খবর নিয়ে কেন নিশ্চিত হলো না,?
এই ভয়ংকর ঘটনায় এলাকার সাধারণ বলেন আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?
ঘটনার পর থেকে নবীনগরের প্রবাসী বিত্তশালী পরিবার গুলোতে আতংক বিরাজ করছে।
জনসাধারণ বলেন আমরা প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা দেখতে চাই।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার সেকেন্ড অফিসার মন্নাফ এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের সাথে কার্ড ছিল, বাচনভঙ্গিও সন্দেহ জনক ছিল না।