মোঃ খলিলুর রহমান খলিল
নবীনগর সদর বাজারে বহুদিন ধরে অভিযোগ ছিল সরকার নির্ধারিত দামে ভোজ্য পণ্য বিক্রি হয় না।সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক ভাবে আলো,পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আলোচনা সমালোচনা চলছে। আলো, পেঁয়াজ ও ডিম সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হয় কিনা তা যাচায় করতে বাজার মনিটরিং করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর ফরহাদ শামীম। এ সময় নবীনগর সদর বাজারে দামের মধ্যে গড়মিল পাওয়ায় দুটি মুদি দোকান কে ১৫ হাজার করে মোট ত্রিশ হাজার ও একটি ডিমের দোকান কে ৫ হাজার সর্বমোট ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন বাজার নিয়ন্ত্রণে ধারাবাহিক ভাবে এই অভিযান চলবে।
এদিকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে গ্যাসের বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার ডিলার সহ বিভিন্ন দোকান ও হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান।এতে সহযোগিতা করেন নবীনগর থানার সাব ইন্সপেক্টর আবু বক্কর সঙ্গীয় ফোর্স।জানা যায়, দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ হাজার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করায় ২টি হোটেল ও ১ টি রেস্টুরেন্ট কে ১৫ হাজার টাকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে জরিমানা করা সহ গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারের গোডাউনে বাজারদরে রশিদের মাধ্যমে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য নির্দেশনা প্রদান করে ।এছাড়া হেমলেট বিহীন মোটরসাইকেল চালানো সময় দুইজন মোটরসাইকেল চালক কে সড়ক পরিবহন মোটরযান আইনে ৪ শত টাকা সহ সর্বমোট ২০ হাজার ৪ শত টাকা অর্থদন্ড করে।
এবিষয়ে নবীনগর সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা জাহান জানান,গ্যাস সিলিন্ডার ডিলারদের কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে রশিদ বিহীন বাজারদরের অধিক মূল্যে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে, জনস্বার্থে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নবীনগরে নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করায় নবীনগরের জনমনে স্বস্তির হাওয়া বয়ছে।নবীনগর সদর বাজারের ক্রেতারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ড কে ধন্যবাদ জানান।