নিজস্ব প্রতিবেদক, জনতা নিউজ || ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার নবীনগর পশ্চিমপাড়ার হযরত আমেনা (রাঃ)মাদ্রাসার পূর্ব পাশের সরকারি খাল অবৈধ উদ্দেশ্যে ভড়াটের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এই খালটি নবীনগর পশ্চিম পাড়া দানা মিয়ার বাড়ীথেকে আলমনগর নগর তিন রাস্তার বা টিনের মসজিদ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য। ৩৬২৯বিএস দাগ এবং ১৩৪১বিএস দাগের ৭৩ শতক খালটি নবীনগর পশ্চিম এলাকার একমাত্র পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল। এই খালের মহিলা মাদ্রাসার পূর্ব দিকের বিশ শতক খাল অবৈধ ভাবে ভরাট করার জন্য খালের মাঝ বরাবর বাঁশের বেড়িবাঁধ দেয় মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মতিন।
এই খালটির ভরাট বন্ধের জন্য ০৩/০৪ /২০২৩ তারিখে এলাকাবাসীর পক্ষে সহকারী কমিশনার ভূমি মাহমুদা জাহান বরাবর আবেদন করেন গোলাম হোসেন মাষ্টার। অভিযোগ পাবার পর ভূমি অফিসের নির্দেশনায় বালি ভরাট বন্ধ করা হলেও উচ্ছেদ হয়নি বাঁশের বেড়িবাঁধ। বরং সরকারি নিষেদ অমান্য করে গোপনে বালু দিয়ে খালটি ভরাটের চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল মতিন ও ২নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার দেলোয়ার হোসেন কোটি টাকা মূল্যের এই খালটি ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করবে বলে ধারনা করেন গোলাম হোসেন মাষ্টার। এই খালটি যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে হতে পারে নবীনগর পৌর এলাকার জনগনের প্রশান্তির জায়গা।খালের দুইপাশের তীর উদ্ধার করে নাগরিকদের জন্য সকাল সন্ধা হটার রাস্তা হতে পারে।দুই তীরে পৌর পার্কও হতে পারে। তাছাড়া দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হবে খালটির পানি প্রবাহ বন্ধ হলে। তাছাড়া নবীনগর পৌর শহরের পশ্চিম পাড়ায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে আগুন নিবারনের জন্য কোন জলাশয় নেই।এই খালটিতে পানির প্রবাহ থাকলে যেকোন সময় জরুরি প্রয়োজনে পানি ব্যবহার করা যাবে।
খাল ভরাটের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল মতিন কে বারবার মোবাইলে কল দিলেও রিসিভ করেননি।