পতুল ও ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল মামলাকে কেন্দ্র করে নবীনগরে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল!
মোঃ খলিলুর রহমান খলিল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল ও ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটিকে কেন্দ্র করে বাদী ও বিবাদী পক্ষের উদ্যোগে আজ বুধবার সদরে একটি মানবন্ধন ও ঝাড়ু মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পাল্টাপাল্টি এসব কর্মসূচি নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন মহলে এখন সমালোচনার ঝড় চলছে।
জানা গেছে, নবীনগর পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াছমিনের করা পুতুল ও ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটির প্রতিবাদে ‘সাংবাদিক সমাজ’ এর ব্যানারে আজ বুধবার দুপুরে স্থানীয় ডাক বাংলোর সামনে একটি ‘মানববন্ধন’ করা হয়। তবে মানববন্ধনে মামলার আসামী ছয় সাংবাদিকের মধ্যে কেবল তিনজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু নবীনগরে থাকা পাঁচটি সাংবাদিক সংগঠনের (চারটি প্রেসক্লাব ও একটি সাংবাদিক ঐক্য পরিষদ) নেতৃবৃন্দসহ সিনিয়র ও মূলধারার অধিকাংশ সাংবাদিককেই মানববন্ধনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। সাংবাদিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি সঞ্জয় শীল ছাড়া অন্য সংগঠন গুলোর কোন সিনিয়র সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন না।মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে রাজনৈতিক নেতা নজরুল ইসলাম নবী,মাওলানা মেহেদী ও অন্যান সাংবাদিক বৃন্দ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলাটি মিথ্যা ও প্রত্যাহারের দাবী করেন।
এদিকে মানববন্ধন শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই মামলার বাদী পৌর কাউন্সিলর (নারী) নীলুফার ইয়াছমিনের নেতৃত্বে মামলার ১ নং আসামী পুতুলের নাম উচ্চারণ করে”পুতুলের দুই গালে জুতা মার তালে তালে বলে স্লোগান দিয়ে ” মহিলাদের নিয়ে একটি ঝাড়ু মিছিল করে। মিছিল থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়। পরে ঝাড়ু মিছিলটি উপজেলা সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে মামলার বাদী নারী কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াছমিন বলেন,’আমি প্রকৃত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন মামলা ও ঝাড়ু মিছিল করিনি। যারা সাংবাদিকতার নামে এই মহান পেশাটাকে কলুষিত করছে, আমি সেইসব চাঁদাবাজ ও দালালদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি মনে করি, সাংবাদিক সমাজের আয়না, আর সেই আয়না যারা ভাঙ্গে, তাদের সাথে আমার কোন আপোষ নেই।’
প্রসংগত, কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলার আসামী হওয়া সাত সাংবাদিক ‘শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভূয়া সন্তান সেজে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন’ এবং ভূয়া সন্তান মহিলা কাউন্সিলরের ভাতা স্থগিত’ শিরোনামে তাদের স্ব স্ব ফেসবুক ও পত্রিকায় গত বছরের শেষের দিকে একাধিক সংবাদ প্রকাশ করেন।
ফেসবুক ও পত্রিকায় প্রকাশিত ওইসব সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা ও মানহানীকর’ দাবী করে কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমিন তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা সাবিনা ইয়াসমিন পুতুল ও ৬সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গত ৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আলোচিত ওই মামলাটি করেন (মামলা নং-১৫/২০২৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া)।
পুতুল বেগম পরে পুনরায় নিলুফার বিরদ্ধে একটি ঝাড়ু মিছিল বের করে
নিলুফা ইয়াসমিনের ঝাড়ু মিছিলে তার নির্বাচনী এলাকার ১, ২ও ৩ নং ওয়ার্ডের অনেক মহিলা উপস্থিত থেকে নিলুফা ইয়াসমিন এর বিষয়ে পুতুল বেগম কে মিথ্যা বানোয়াট কথা না রটাতে জোড় গলায় বক্তব্য রাখেন।
দুই পক্ষের এইসব কর্মকান্ডে নবীনগরের সর্ব মহলে সমালোচনার ঝড় ভয়ছে।