আলমনগর উঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উজ্জল ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
মোঃ লিটন মিয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পৌর এলাকার আলমনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন পিছুই ছাড়ছে না।গত ১৬ জুলাই স্কুল ছুটিকে কেন্দ্র করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক কারণ দর্শানোর নোটিশ পায় সকল শিক্ষক। ২২ সেপ্টেম্বর সোমবার প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিয়ম বহির্ভূত ছুটি ভোগের অভিযোগ তুলেছেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ সভাপতি আমির হোসেন ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার আলমনগর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন “সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল রাত দশটা থেকে বারোটা প্রায় সময় স্কুলের গেইট খোলে তিন তলায় প্রবেশ করে, উজ্জ্বল মাষ্টার স্কুলের রুমে মাদকের আসর বসায়। ”
আমির হোসেন অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক রৌওশন আক্তার একাধিক বার স্ট্রোক করে অসুস্থ তিনি স্কুল থেকে প্রায়সময় মেডিকেল ছুটি নিয়ে থাকে তার অনুপস্থিতে স্কুলের শিক্ষা দানে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
উজ্জ্বল মাষ্টার সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরে নানা রকম অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, উজ্জ্বল মাষ্টার স্কুলের কম্পিউটার ব্যবহার করে তিন তলায় বসে রাত বারোটা এমন কি রাত একটা পর্যন্ত স্কুলের তিন তলায় বসে ব্যক্তিগত ভাবে আইডিকার্ড সংশোধনের কাজ,জন্মনিবন্ধনের কাজ করেন।তিনি স্কুল ভবনে রাতে কাজ করা অবস্থায় ধূমপান করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সহকারী শিক্ষক কিভাবে স্কুলের গেইট ও রুমের চাবি রেখে রাত বিরাতে স্কুলে প্রবেশ করে আমাদের বোধগম্য নই।
আলমনগর দঃ পাড়ার বাসিন্দা আবু সাঈদ বলেন দীর্ঘ তিন মাস আগে উজ্জ্বল মাষ্টার আইডি কার্ড সংশোধনের কথা বলে আমার নিকট থেকে ১২ হাজার টাকা গ্রহন করেন অথচ তিনি কোন কাজ করেন নাই, আমি টাকা চাইলে তিনি বলেন কাজ হবে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসীও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিদ্যালয়ের এমন অভিযোগ নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কি পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে এখন তাকিয়ে আছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক রৌওশন আক্তারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
অভিযোগের বিষয়ে সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বলের নিকট জানতে চাইলে উচ্চ ভাষায় কথা বলেন এবং জোর গলায় বলেন আমি বক্তব্য দিতে বাধ্য নই আমার ঊর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষের নিষেধ রয়েছে মিডিয়া কথা না বলতে।
এ বিষয়ে জানতে নবীনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বার বার কল দিলেও রিসিভ করেননি।