শিরোনাম :
কটিয়াদীর মন্ডলভোগে নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ইসলামের অবদান শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নবীনগরের সাহেবনগরে পুকুরের মালিকানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ বৈষম্য ও টেকসই উন্নয়ন (Inequality and sustainable development) আটোয়ারীতে চাঞ্চল্যকর ও ক্লুলেস নারী ধর্ষণসহ হত্যকান্ডের মূল আসামী গ্রেফতার: নবীনগর কাইতলায় ইফতার সামগ্রী বিতরণ। রাণীশংকৈলে নারী দিবস উপলক্ষে নাটক প্রদর্শনী বাঞ্চারামপুরে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে গেছে চাচী। রাণীশংকৈলে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত নবীনগরে “এসো আমরা গড়ি” সংগঠনের উদ্যেগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল। নবীনগরের শাহবাজপুরে কোরআনের পাখিদের সবক অনুষ্ঠান ২০২৫ সম্পন্ন।
বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন

বাঞ্চারামপুরে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে গেছে চাচী।

প্রতিনিধির নাম / ৪৬ বার
আপডেট : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫

🔴বাঞ্চারামপুরে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে গেছে চাচী।

মোঃ আলাউ্দ্দিন আকাশঃ কষ্টে জমানো নগদ ৩ লাখ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পাওয়ার ট্রলি চালক ভাতিজা মো. রিফাতের হাত ধরে উধাও হয়েছেন চাচি আফরোজা।

ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের হায়দরনগর গ্রামে। ভাতিজার হাত ধরে চাচির নিরুদ্দেশ হওয়ার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। চায়ের দোকান থেকে সামাজিক গণমাধ্যম—সর্বত্রই এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

থানায় অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হায়দরনগর গ্রামের মো. হাসানের ছেলে মো. মাহবুব হাসান আড়াই বছর আগে পার্শ্ববর্তী আশ্রাফবাদ গ্রামের এক মেয়েকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। তিনি গত এক যুগ ধরে বাঞ্ছারামপুরে একটি বেসরকারি বীমা কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। স্বামীর অফিসে থাকার সুযোগে মাহবুব হাসানের আপন চাচাত ভাই আব্দুল হক সাবের ছেলে, ট্রলি চালক মো. রিফাতের সঙ্গে আফরোজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

চাচি-ভাতিজার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক বাস্তবে রূপ দিতে গত ২ মার্চ, রমজানের দ্বিতীয় দিন, রোববার ইফতারের পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ভাতিজার হাত ধরে পালিয়ে যান আফরোজা। এরপর থেকেই তাদের দুজনের মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।

স্বামীর অভিযোগ, আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে কোনো কিছুর ঘাটতি ছিল না। কিন্তু আমার ৩ লাখ টাকা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সে পালিয়ে গেছে। আমি এমন স্ত্রী চাই না, শুধু আমার টাকা ও স্বর্ণ ফেরত চাই। এজন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ ডাকলেও মেয়ের পরিবারের কেউ তাতে উপস্থিত হয়নি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে আফরোজার মা নাছিমা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কী মেয়ে পেটে ধরেছি! এমন মেয়েকে নিয়ে আর প্রশ্ন করবেন না। ওরা কোথায় আছে, আমি জানি না।

ভাতিজা রিফাত ও চাচির নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় থানা পুলিশ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ