নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুরে অবাধে চলছে গাছ নিধন
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃবাংলাদেশ চিরসবুজের দেশ হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃক্ষ নেই। দেশের ভূগোলিক সীমানার মধ্যে শতকরা ২৫ ভাগ গাছ থাকার কথা থাকলেও সবেমাত্র গাছ আছে ৯%।এই ৯ % বনভূমি বা বনাঞ্চলের বেশির ভাগ গাছ রয়েছে সরকারি রাস্তার পাশে।সরকারি গাছ কাটার বিষয়ে বিধি নিষেধ থাকলেও এই নিয়ম কাননকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীপুর গ্রামে দশটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।এই দশটি গাছ নবীপুর প্রধান বাড়ী থেকে শুরু করে দড়িলাপাং নৌকা ঘাট পর্যন্ত সরকারি রাস্তার উভয় পাশে ছিল। নবীপুর প্রধান বাড়ীর রহমান পিতা সিদ্দিকুর রহমান তার ক্রয়কৃত বাড়ীর সরকারি রাস্তার বিপরীত পাশের খালের পাড়ের বিশাল একটি শীল কড়ই গাছ কেটে ফেলছে তার সীমানা বরাবর বলে। তিনি আইনের কোন তোয়াক্কা করেননি তার ভাইস্তার মোবাইল নাম্বার দিয়ে বারবার আব্দুর রহমানকে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
অপরদিকে দানা মিয়াও একই ভাবে সরকারি অনুমতি ছাড়া রাস্তার পাঁচটি গাছ কর্তন করেছেন।দানামিয়াকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমার বাড়ীর পাশের গাছ আমি কাটবো অনুমতি লাগবে কেন?আমি দানা মিয়া ফরেস্টএ চাকরী করে এসেছি আমাকে এইসব বিষয়ে প্রশ্ন করবেন না এইসব বিষয়ে আমি উত্তর দিব না।
তাদের দেখাদেখি পাশের আরো চারটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এইভাবে চলতে থাকলে সরকারি রাস্তার গাছ একসময় এই রাস্তায় থাকবে না বলেই মনে হচ্ছে।
এই বিষয়ে নবীনগর নির্বাহী কমিশনার ভূমি আবু মোছাকে অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে প্রতিবেদককে আসস্ত করেন।
এই বিষয়ে পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর আলমকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন আমি গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নই,গাছ কাটতে হলে অবশ্যয় সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে করতে হয়।