মনোনয়ন পূনরায় বিবেচনার দাবী সাত মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ ১৯ নভেম্বর বুধবার বিকাল তিনটায় নবীনগর সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে নবীনগর উপজেলা বিএনপির স্মরণকালের ইতিহাসে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বিএনপি মনোনয়ন বঞ্চিত ৭ প্রভাবশালী বিএনপি নেতারা এবার এক মঞ্চে উঠে দাঁড়ালেন।
উল্লেখ্য, এ আসন থেকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট এম. এ. মান্নানকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকেই মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জসীম উদ্দিন,সায়েদুল হক সাঈদ, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, জেলা বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী নাজমুল হোসেন তাপস,কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুনুর রশীদ ভূইয়া, রাজিব আহসান পাপ্পু ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছিলেন।
তাদের দাবি, এই সাতজনের যেকোন একজনকে মনোনয়ন দিতে হবে। “কোন অযোগ্য নেতা-কর্মীর পাশে ছিল না এমন প্রার্থী আমরা চাই না।”
চারভাগে বিভক্ত বিএনপির একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মনোনীত এম. এ. মান্নান। অপর গ্রুপে রয়েছেন মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজমুল হোসেন তাপস। মনোনয়ন পেতে তিনি আশাবাদী হয়ে লড়ছেন। তার বাবা প্রয়াত কাজী মো. আনোয়ার হোসেন চারবার সাংসদ নির্বাচিত ছিলেন এই আসন থেকে। তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এবং এর আগেও এ আসনে ২০১৮ সালে তিনি ধানের শীষের প্রতিকে নির্বাচন করে পরিচিতি লাভ করেছেন।তিনি আজকের মহাসমাবেশে ক্রিকেট খেলোয়ারদের রিভিউ সিস্টেমে মাঠে কর্মীদের অনুভূতি ব্যক্ত করার ছবিটি মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পায়।
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম বলেন, “এ আসনে প্রকৃত নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি,যোগ্য প্রার্থী পেলে এই সিটটি তারেক রহমানকে উপহার দিতে চাই।
তবে জনসভায় সায়েদুল হক সাঈদ বলেন মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট এম এ মান্নান আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটির তিনজন সদস্যকে চিনেন না বলেছেন এটা অত্যন্ত দুঃখ জনক,আমরা এই মনোনয়নের পরিবর্তন চাই।
মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর এক প্রার্থী মেজর জেনারেল কামরুজ্জামান (অব.) বলেন, “আমি কোনও বিভাজন বা বিচ্যুতির পক্ষে নই। বিএনপি হাইকমান্ড বিষয়টি জানে। দল যাকেই যোগ্য মনে করে, আমিও তাকেই চাই। তবে এ আসনে আমি আশাবাদী হিসেবে রয়েছি।” তিনি ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন না।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান মঞ্জু, সাবেক মেয়র মাইনুদ্দিন মাইনু, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু সাঈদ, জেলা বিএনপির সদস্য হযরত আলী।
২১টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে রুপান্তরিত হয়েছে সমাবেশ।