এবার পূজায়, মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আসবেন ও মানুষের পিঠে চড়ে প্রস্থান করবেন
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ২০২৫ সালের দুর্গাপূজার মন্ডপে মন্ডপে মা দুর্গা হাতির পিঠে চড়ে মর্ত্যে আসবেন এবং মানুষের পিঠে চড়ে প্রস্থান করবেন। এই আগমন ও গমনের মাধ্যমে সমৃদ্ধি, বৃষ্টিপাত, শান্তি এবং সম্প্রীতির একটি শুভ বার্তা বয়ে আসবে বলে মনে করা হয়। আগমন (হাতি): দেবীর হাতির পিঠে আগমনকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়, যা সমৃদ্ধি ও উর্বরতার ইঙ্গিত দেয়। প্রস্থান (মানুষ/নর)মানুষের পিঠে দেবীর প্রস্থানও একটি শুভ লক্ষণ, যা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা বহন করে।
২০২৫ সালে দেবী দুর্গা হাতিতে করে মর্ত্যে আসছেন, যা সমৃদ্ধি, শান্তি, এবং ভালো বৃষ্টিপাতের লক্ষণ বলে বিবেচিত হয়। এই মর্ত্যলোককে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরিয়ে তুলবে বলে শাস্ত্র মতে বলা হয়েছে।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব মা দূর্গাকে বরন করে নিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পূজার শেষ মুহূর্তে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে সাজসজ্জার কাজ। মৃৎশিল্পীরা মন্ডপে গিয়ে মূর্তির রং ও সাজসজ্জা করে দিচ্ছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে সারা দেশে ঢাকঢোলের তালে তালে শরৎকালের কাশফুলের দক্ষিণা হাওয়ার চমৎকার আকাশ নিয়ে উৎসব মুখর ভাবে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। তবে সোমবার দেবি দূর্গা মহালয়ার হিসাবে মর্ত্যে গজ বা হাতির পিঠে চড়ে আগমন করবেন
নবূনগর উপজেলায় এবার ১২৯টি পূজামণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজামণ্ডপে থাকবে সিসিটিভি ক্যামরার আওতায়। পূজার্থী ও মণ্ডপের নিরাপত্তায় রাখা হবে ২ জন করে পুলিশ, ৬ থেকে ৮ জন আনসার। ঝুঁকিপূর্ণ পূজামণ্ডপে রাখা হবে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, থাকবে সেনা, বিজিপি ও র্যাবের টহল। সক্রিয় থাকবে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট বিনয় চক্রবর্তী ও সদস্য সচিব সাংবাদিক সঞ্জয় সাহা জানান, পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের সাথে কাজ করবে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ,যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পূজা মণ্ডপগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা আশাবাদী সকল ধর্ম ও বর্ণের অংশগ্রহণে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন হবে।
পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর প্রশাসক রাজিব চৌধুরী প্রতিটি পূজামণ্ডপে ৫০০০টাকা বরাদ্দ ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১২৯টি মন্ডপের প্রতিটিতে ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দও দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপের শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালনকারী স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী বলেন, প্রতিমা বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিপির টহল থাকবে। নজরদারিতে সক্রিয় থাকবে অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন।