এসএসসি পরীক্ষায় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন শেষে কর্মসস্থলে অবস্থান করেও হত্যা মামলার আসামি প্রভাষক জাকির হোসেন
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ ২৯ এপ্রিল দূপুর ২টা থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড্ডা ও বাড়াইল গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, সংঘর্ষটি দুপুর তিনটা থেকে চারটার দিকে চূড়ান্ত রুপ লাভ করে। সংঘর্ষে নৃশংসভাবে বাড্ডা গ্রামের আজিজ মুন্সী ৫২ কে হত্যা করে বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়। নিহতের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে ১লা মে ২০২৫ রোজ বৃহস্পতিবার ৩৩ জনকে এজহারভুক্ত আসামি করে নবীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলায় ২৫ নাম্বার আসামি করা হয় রাবেয়া মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের ফিনান্স ও ব্যাংকিং বিষয়ের প্রভাষক জাকির হোসেনকে।অথচ জাকির হোসেন ২৯/০৪/২০২৫ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র নবী ২ (৪২৬) সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১৪ নাম্বার কক্ষে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
সলিমগঞ্জ এ আর এম উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আহমদ আলী বলেন জনাব জাকির হোসেন ২৯ তারিখে আমার কেন্দ্রে সকাল ৯ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষার দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।
জাকির হোসেন বলেন , আমার কর্মস্থল রাবেয়া মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে দূপুর দুইটা থেকে ক্লাশ থাকায় আমি দূপুর দেড়টায় সলিমগঞ্জ কেন্দ্র থেকে বের হয়ে কর্মসস্থলে চলে যায়।কর্মস্থলে খাওয়া দাওয়া শেষ করে দূপুর দুইটা থেকে ক্লাশ ও স্কুলের মিটিং নিয়ে সাড়ে চারটা পর্যন্ত স্কুলে অবস্থান করি।অথচ আমি কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় আমি নাকি সংঘর্ষে জড়িত ছিলাম এই মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে আসামি করা হয় আমি এই মিথ্যা অভিযোগের প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে জানতে রাবেয়া মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আমির ফয়সালের নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন ২৯ তারিখ জাকির হোসেন আমার প্রতিষ্ঠানে দুইটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত কর্মরত ছিল।
জাকির হোসেন আরো বলেন আমি আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী স্যারকে আমার বিষয়ের যে অভিযোগ এসেছে সেই বিষয়ে অবগত করেছি এবং প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত প্রদান করেছি স্যার খতিয়ে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।