শিরোনাম :
১৭ বছরপর সব থেকে বড় সুখবর সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কাইতলা দক্ষিণ ইউনিয়নে লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। একুশেপদকপ্রাপ্ত আলী জাকেরের ছেলে ইরেশ জাকের নামে হত্যা মামলা ভূগর্ভস্থ পানির স্থর(Ground Water)বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে নবীনগর পৌরবাসী গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাজে আসে না কৃষক পরিবারের শিক্ষার্থীদের কোম্পানীগঞ্জে বশত ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট থানায় অভিযোগ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্ট এর আহ্বায়ক শ্যামল দাস, সদস্য সচিব অসীম মজুমদার নবীনগর শ্যামগ্রাম ইউনিয়নে জামায়াতের গণসংযোগ মহানগর ডিঙিয়ে কিশোর গ্যাং আতংক এখন নবীনগরে নবীনগরে রাতে আধারে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে কন্টাকটারের ক্ষমতা দেখিয়ে
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন

বাঞ্ছারামপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা স্বর্নলংকার নগদ অর্থ লুট

প্রতিনিধির নাম / ৫৯ বার
আপডেট : শনিবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৫

🔴বাঞ্ছারামপুরে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা স্বর্নলংকার নগদ অর্থ লুট

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের কান্দারপাড়ায় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উপদেষ্টা কাজল জালালীর বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।

গত মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) মধ্যরাতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল হক ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে এই হামলা সংঘটিত হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হামলাকারীরা ঘরের দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং সিসিটিভি ক্যামেরা নষ্ট করে ফেলে। তারা নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও ৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় যাতে হামলার কোনো প্রমাণ না থাকে।

কাজল জালালীর ভাতিজা অন্তর জালালী অভিযোগ করে বলেন, “আমার ভাইকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। গলা ও পিঠে মারাত্মক আঘাত করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ও হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হামলা।”

ভুক্তভোগী চায়না আক্তার জানান, “হামলার সময় আমাদের ছোট ছোট শিশুরা আতঙ্কে কেঁদে ওঠে। সন্ত্রাসীরা আমাদের ঘরে ঢুকে আমাকে মারধর করে এবং লুটপাট চালায়।”

আরেক পরিবারের সদস্য নজরুল ইসলাম জালালী বলেন, “এটি রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিত হামলা। তারা সিসিটিভি ভেঙে বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করেছে।”

ঘটনার পর বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আনারুল হককে প্রধান আসামি করে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা, রড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এতে কয়েকজন গুরুতর আহত হন।

মামলার প্রধান আসামিরা হলেন— মো: আনারুল হক (৫২), রিয়াদুল হাসান বাবু (৩১), মো: খাইরুল ইসলাম (৪৫), আব্দুল কাদির (২০), শান্ত মিয়া (২০), আবু মিয়া (৩৫), সবপন মিয়া (৫৫), ইকবাল মিয়া (৫৫) ও শফিক মিয়া (৩১)। এছাড়াও আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন, রূপসদী গ্রামের অপরাধে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ফল হিসেবে উল্লেখ করে ভুক্তভোগী পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে এবং দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

আলাউদ্দিন আকাশের তথ্য ও চিত্রে-

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ