নবীনগরের সাহেবনগরে পুকুরের মালিকানা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
মোঃখলিলুর রহমান খলিলঃ নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের সাহেব নগরের মৃত আব্দুল অহেদ এর ছেলে কামাল মিয়ার মালিকানা ২২৯
শতক পুকুর ও বসতবাড়ী দুই শতক সহ ২৩১ শতক পুকুর ও বাড়ী দখলের অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।কামাল মিয়া প্রতিবেদককে বলেন আমি আমার নিজস্ব ২২৯ শতক ১টি পুকুর ও পত্তন নিয়ে আরো ৫ টি পুকুর মাছ চাষ করি।মাছের খাবারের জন্য আমি নবীনগর সদর বাজার ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম মনিরের নিকট থেকে ফিড সর্বদা বাকিতে ক্রয় করি।একসময় তিনি আমার নিকট ১৯ লক্ষ টাকা মাছের ফিডের টাকা পাওনা হয়,আমি আমার গ্রামের একটি হত্যা মামলার মিথ্যা আসামি হয়ে জেল হাজতে ছিলাম, এই সুযোগে মনির মিয়া আমার পাচটি পুকরের মাছ বিক্রয় করে ফেলেন, আমি জেল থেকে এসে মনির মিয়ার সাথে দেখে করি মনির মিয়া বলেন আমি আপনাকে ব্যাংক থেকে একটি লোনের ব্যবস্থা করে দিবো এই কথা বলে তিনি আমার নিকট থেকে একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রাখেন, মনির মিয়ার মৃত্যুর পর এক বছর পর এসে মনিরের ছেলে আমার পুকুর পাড়ে জোর দেখিয়ে ঘর তুলেন এবং আমাকে বলেন আমি নাকি আমার সম্পত্তির পাওয়ার দিয়েছি মনির মিয়াকে।
আমি এই বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে নবীনগর থানায় অভিযোগ দাখিল করেছি।
আমি নবীনগর উপজেলা প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই
এ বিষয়ে মনির মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া বলেন আমি কামাল মিয়ার নিকট থেকে ১কোটি বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে ২২৭ শতক পুকুর ক্রয় করি ২০১৯ সালে,আমি যেহেতু বিক্রয় করার উদ্দেশ্যে ক্রয় করেছি এজন্য আমি অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অফ এ্যাটর্নি নামা দলিল করেছি।জায়গাটা আমি ২০১৯ সালে বুঝে পেয়েছি, পুকুরের পাড়েও গত পাঁচ বছর যাবৎ বিভিন্ন কাঠ গাছ লাগিয়ে লোক নিয়োগ দিয়ে পরিচর্যা করতেছি।আমি জায়গা যে ক্রয় করেছি সাহেবনগরের সবাই জানে বিশেষ করে নান্নু মেম্বার,খান সাহেব লেনদেনের সময়ও ছিল কিন্তু কামাল মিয়া রহস্যজনক কারনে কোর্টের মাধ্যমে পাওয়ার বাতিলের জন্য আবেদন করেন যার নোটিশ আমি পেয়েছি এবং সে নবীনগর থানায় নিজে অভিযোগ করে থানা প্রশাসন আমাদের উভয় পক্ষকে ডাকলেও কামাল মিয়া থানায় উপস্থিত হয়নি। মামুন বলেন আমাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে আমি এর প্রতিকার চাই।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল রাজ্জাকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কামালের অভিযোগ পেয়ে যাবতীয় কাগজপত্র দেখে নিশ্চিত হয়েছি জায়গার মালিক মামুন,কামাল লোভেপড়ে জায়গার মালিকানা দাবি করছেন যা সম্পূর্ণ অযুক্তিক।