৯৬ বিশ্বকাপের পর মুশতাক আহমেদ ইঞ্জুরিতে পড়ে। তখন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম একজন লেগ স্পিনারের খোঁজে ব্যস্ত। এমন সময় এক নির্বাচক অনূর্ধ্ব উনিশের এক যুবকের নাম বললেন যিনি কিনা ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে ভালোই করেছিলো।
সেই যুবককে ডেকে নেটে কিছুক্ষণ বল করতে দেওয়া হলো। এরপর হুট করে ওয়াসিম আকরাম বললেন , “ব্যাটিং করতে পারো?” সেই যুবক বললেন, “হ্যাঁ,পারি।” আকরাম এরপর নিজেই বল করা শুরু করলেন। সময়ের অন্যতম সেরা বোলারের বল গুলো নেটে ফেইস করার সময় সেই যুবক বেশিরভাগ বল পাঠিয়ে ছিলেন মাঠের বাহিরে। আকরাম অবাক হলেন বটেই।
অক্টোবরের ৪ তারিখ। সেই যুবকের ২য় ম্যাচ,অভিষেক হয় কেবল ২ দিন আগেই। শ্রীলঙ্কার সাথে ওপেনিং এ সাঈদ আনোয়ার,সেলিম এলাহী নামলেন। সেলিম ২৩ রানে আউট হওয়ার পর আকরাম সেই তাগড়া যুবককে নামিয়ে দিলেন ৩ নম্বর পজিশনে। সনাথ জয়াসুরিয়া,মুত্তিয়া মুরালিধরনের বিপক্ষে নিজের অভিষেক সিরিজেই সেই যুবক অবাক কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন। মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি! ওয়ানডে ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি।
২য় উইকেটে সাঈদ আনোয়ার এর সাথে ১২৬ রানের জুটি গড়েছিলেন তিনি। তার মধ্যে ১০২ রানই ছিলো সেই যুবকের। সেই যুবকটি আর কেউ না শহীদ আফ্রিদি। আফ্রিদি যেই ব্যাট দিয়ে ওডিআই এর দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন সেটা ছিলো দ্য গ্রেট শচীন টেন্ডুলকার এর। যেটা তাকে দিয়েছিলেন ওয়াকার ইউনুস। আফ্রিদির এই রেকর্ড কোরি অ্যান্ডারসন ভেঙ্গেছিলেন ৩৬ বলে আর এবি ডি ভিলিয়ার্স এই রেকর্ড গড়েছিলেন ৩১ বলে।
অভিষেক ওয়ানডের মতো নিজের অভিষেক হওয়া ২য় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নেমে ওডিআই স্টাইলে ১৪১ রান করেছিলেন আফ্রিদি। এরই সাথে সেই ম্যাচে ৫ উইকেটও নিয়েছিলেন আফ্রিদি। আফ্রিদি মানেই অপ্রতিরোধ্য,বিধ্বংসী,প্রতিপক্ষের ত্রাস। আজকের দিনে আফ্রিদি ৪৮তম জন্মবার্ষিকীতে পর্দাপণ করলেন। শুভ জন্মদিন বুম বুম আফ্রিদী