🔴নবীনগরে গাছের সাথে সাথে শক্রুতা! রাতের আঁধারে কীটনাশক প্রয়োগে রবিশস্য পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভিটিবিষাড়া গ্রামের টেকের বাড়ির মো. শহীদ মিয়ার ১৫শতাংশ জমির পিয়াজ/রসুন/ধইন্যা পাতা/লাউ গাছ রাতের আধারে কে বা কাহারা কীটনাশক প্রয়োগ করে পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে, প্রায় বিশ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন ভুক্তভোগী জমির মালিক।
এঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকের ছোট্ট ছেলে কায়কোবাদ বাদী হয়ে নবীনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৯শে ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভিটিবিষাড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়া যমুনানদীর পূর্ব পারের রবিশস্যের জমিতে। এতে তার ২০,০০০হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রতনপুর ইউপির ০১ ওয়ার্ডের ভিটিবিশাড়া গ্রামের দক্ষিনপাড়া টেকবাড়ির শহীদ মিয়ার ১৫শতক ফসলি জমিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও পিয়াজ, রসুন, লাউ, ধৈন্না সহ বিভিন্ন রবিশস্য চাষ করেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারের কায়কোবাদ।
গত ২০শে ডিসেম্বর রোজ শুক্রবার ফসলী জমির পরিচর্যা করতে এসে দেখে কে বা কাহারা রাতের আধারে প্রচুর পরিমাণ কীটনাশক প্রয়োগ করে জমির রবিশস্য পুড়িয়ে ফেলেছে তখনও কীটনাশকের গন্ধে দমবন্ধের উপক্রম। ভুক্তভোগী শহীদ মিয়ার ছেলে কায়কোবাদ এই মধ্যযুগীয় বর্বরতা ও অমানবিকতা দেখে হত-বিহবল হয়ে মাথায় হাত রেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে।
তিনি বলেন, আরও বলেন এই জমির রবিশস্য আমাদের পুড়ো পরিবারের একবছরের খোরাক! কে বা কারা আমার উপর শক্রতা করে আমাদের ১৫শতাংশ জমির রবিশস্য কীটনাশক প্রয়োগে পুড়িয়ে ফেলেছে, এতে আমার বিশ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহীদ মিয়া একজন বয়োবৃদ্ধ মুমূর্ষু রোগী তিনি আজ ৪বছর ধরে বিছানায় শয্যাশায়ী, ওনার ছেলে আমাদের এলাকার নিঃসন্দেহে একজন ভালো ছেলে। রবিশস্যের গাছগুলো যেই পুড়িয়ে ফেলুক না কেন এতো বড় ক্ষতি তার করা উচিত হয়নি। শতশত গাছকে জিবন্ত হত্যা করা হয়েছে। এই ঘঠনার সাথে যারা সম্পৃক্ত থাকুক না কেনো, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও মুখোশ উন্মোচনে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।
রিপোর্টারঃ মো.আলাউদ্দিন আকাশ: ‘প্রচার সম্পাদক, নবীনগর নিউ মডেল প্রেসক্লাব, ব্রাক্ষণবাড়িয়া।
মোবাইল- ০১৭৯৪০০১১৪৫