ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ৯ জন জাতীয় সংসদ সদস্য সহ ২৪০ জনের নামে মামলা

মোঃ খলিলুর রহমান খলিলঃ ৪ঠা আগস্ট ২০২৪ রোজ রবিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অগ্নিসংযোগ করার চেষ্টা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযোগ তুলে ২৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে জেলা সদর উপজেলার শরিয়ত পুরের মজিবুর রহমানের ছেলে আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় এই অভিযোগটি দাখিল করেন। আনিসুর রহমান সাবেক ৯ জন জাতীয় সংসদ সদস্য সহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিনশ জন লোক কে বিবাদী করে এই অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তার অভিযোগের ১নং বিবাদী করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী র.আ ম. রবিউল মুক্তাদির চৌধুরী কে ধারাবাহিকভাবে মামলার বিবাদীরা হলেন সাবেক আইন মন্ত্রী সাবেক সংসদ সদস্য আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম তাজ, সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, সাবেক সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন মইন, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান আলম সাজু, সাবেক সংসদ সদস্য একরামুজামান সুদন,সাবেক সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, তাছাড়া জেলার অন্তর্গত জেলা সদর ও বিভিন্ন পৌরসভার ও উপজেলার সাবেক মেয়র,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানদের নাম রয়েছে এই মামলায়। তাছাড়া এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নাম রয়েছে। মামলা হওয়ার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন মহলে চলছে এই মামলা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। বিগত বিএনপি সরকারের আমলে বা কোন সরকারের আমলেই ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে কোন রাজনৈতিক মামলা হইনি বলে জানিয়েছেন সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তারা অত্যন্ত দুঃখ প্রকাশ করে বলেন মামলায় যে বিষয়টিকে উল্লেখ করা হয়েছে সেই বিষয়ের সাথে আসামিরা জড়িত নয়। এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগকে দুর্বল করার জন্য মামলা করা হয়েছে বলে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অনেক নেতা জানিয়েছেন। এই মামলায় নবীনগরের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল সহ নবীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯ জনের নাম রয়েছে। এই মামলার ৮৮ নম্বর আসামি রতনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা মারুফ, ৮৯ নম্বর আসামি চতরংখোলার ওয়ার্ডের মেম্বার জাকির হোসেন, ১৫৯ নাম্বার আসামি জাকির হোসেন সাদেক নবীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ১৬০ নাম্বার আসামি রহুল আমিন সাবেক চেয়ারম্যান, বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ১৬১ নাম্বার আসামি, ১৬২ নাম্বার আসামি সাইফুল আলম নাটঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক, ১৬৭ নাম্বার আসামি জাকির মুন্সি ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ইউনিয়ন বিটঘর,বিটঘর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নান্টু ঘোষ ১৭৯ নাম্বার আসামি, এই মামলা সূত্রে জানা যায় আমলাটির বাদী আনিসুর রহমান বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজাফফর হোসেনের বরাবর অভিযোগটি দাখিল করেন,মামলাটি রেকর্ডিং করেন এস আই তানভীর আহমেদ, তদন্ত করেন এ এস আই মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ। এই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদলের নাম থাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলার সর্বসাধারণ এমনকি উপজেলা বিএনপি’র অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতৃবৃন্দ খুব প্রকাশ করেছেন। গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির অনেক নেতৃবৃন্দ এই মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তারা বলেন ফয়জুর রহমান বাদল একজন ভদ্র ও নম্র মানুষ তার আমলে নবীনগর উপজেলা বিএনপির কোন নেতা কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা হইনি। তিনি যেহেতু উপজেলা বিএনপির সাথে কোন সাংঘর্ষিক আচরণ করেন নাই তার নামে মামলা প্রদান করায় আমরা মর্মাহত, আর যারা আমাদের বিএনপির কর্মীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট মামলা দিয়েছে অথচ তাদের নাম নেই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মামলায় নবীনগর আসনের সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদলের নাম থাকায় নবীনগরের সর্বস্তরের জনগণের মাঝে বইছে নিন্দার ঝড়।নবীনগরের সুশীল সমাজের লোকজন এই মামলা থেকে ফয়জুর রহমান বাদলের নাম অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।