শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ এর সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করায় নবীনগরে আনন্দ মিছিল রতনপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত নবীনগর উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের যৌথ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত। নবীনগর উপজেলা ও পৌর কৃষকদলের যৌথ বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত। সাইবার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন নবীনগরের ৫ সাংবাদিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে আওয়ামীলীগ নেতা নাছির সহ ছয় জন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠের নেতা গ্রেফতার জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কুমিল্লা বিভাগীয় যুগ্ম আহবায়কের দ্বায়িত্ব পেলেন মামুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের পূর্বাঞ্চলের বাতিঘর শিল্পপতি রিপন মুন্সী
শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন

গাজীপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বেআইনী কর্মকান্ডে সাবেক এসপিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম / ১৩২ বার
আপডেট : রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

গাজীপুরে এক পুলিশ কর্মকর্তার বেআইনী কর্মকান্ডে সাবেক এসপিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সুরুজ্জামান রাসেল
গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার আলোচিত এক পুলিশ কর্মকর্তা জয়দেবপুর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ মোঃ মিজানুর ইসলামের বেআইনী কর্মকান্ডে গাজীপুর আদালতে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩২৩/৪৯৩/৪৯৪/৪৯৫/৪৯৬/৩৭৯/

৫০৬(।।)/১০৯ ধারায় ১৪৮৬/২০২৪ নং সিআর মামলা হয়েছে। গাজীপুরের সাবেক এসপিসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা ও স্টেনোগ্রাফারের বিরুদ্ধে গাজীপুরের চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিবার মামলাটি দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী কলেজছাত্রী ঝর্ণা আক্তার ওরফে বর্ষা (১৯)। 

তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। মামলাটি আমলে নিয়ে গাজীপুর পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দিয়েছেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কায়সার আহমেদ। বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সাবেক ওসি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার দক্ষিণ স্বরমঙ্গল গ্রামের সৈয়দ মোঃ মিজানুর রহমান, সাবেক পুলিশ সুপার কাজী সফিকুল আলম, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিরাজুল ইসলাম, ওসি ডিবি দেলাওয়ার হোসেন ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের স্টেনোগ্রাফার মো. আব্দুল করিম। 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইতিপূর্বে মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানায় ওসি মিজান কর্মরত ছিল। সে সময় স্ত্রী সন্তানের কথা গোপন রেখে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ও বিয়ের প্রস্তাব দেয় ওসি মিজান। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় কলেজ ছাত্রীর বোনের জামাইকে প্রায়ই থানায় ডেকে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে রেখে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে রিমান্ডে নির্যাতনের ভয় দেখাতো। ওসি মিজান ভুক্তভোগীকে বিয়েতে রাজি করানোর জন্য তার নামে মানিকগঞ্জে ৮১/১ নং নির্মাণাধীন মেসার্স এসকে এন্টারপ্রাইজের ভবনের ১০ তলায় ১ টি ফ্ল্যাট বুকিং করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেককে ফু দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে।  এই কারণে নির্বাচন কমিশন ওসি মিজানকে মানিকগঞ্জ থেকে গাজীপুরে বদলী করে।

জয়দেবপুর থানায় যোগদান করে গত ১৭ জানুয়ারি রাতে কলেজছাত্রী ঝর্ণার ফোন পেয়ে গাজীপুরের একটি রিসোর্ট থেকে উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। পরে ধর্ষন মামলা থেকে রক্ষা পেতে গাজীপুরের সাবেক এসপি কাজী শফিকুল আলম ও ডিবি পুলিশের ওসি দেলাওয়ার হোসেনের পরামর্শে ওই ওসির প্রথম স্ত্রীর উপস্থিতিতে ১৮ জানুয়ার কলেজছাত্রী ঝর্ণাকে বিয়ে করেন ওসি সৈয়দ মিজানুর রহমান। বিয়ের পর ওসি মিজান একদিনের জন্যও ছাত্রীর সাথে সংসার করেননি এবং কোন খোঁজখবর নেননি। ধর্ষন মামলার আলামত নষ্ট করে গত এপ্রিল মাসে ওই কলেজছাত্রীকে গোপনে একতরফা তালাক প্রদান করেন ওসি মিজান। 

রবিবার দুপুরে কলেজছাত্রী ঝর্ণা আক্তার তার মাকে সঙ্গে নিয়ে গাজীপুর প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের জানান, রিসোর্ট থেকে ডিবি পুলিশ উদ্ধার করে তাকে গাজীপুরের পুলিশ সুপারের কাছে নিয়ে যায়। তার কাছে সব জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি ন্যায়বিচারের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিচার না করে উল্টো তিনি মিজানের সাথে বিয়ে দিয়ে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা করেন।  এ ঘটনায় ঢাকায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ওসি মিজানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে এসপি কাজী শফিকুল আলম তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছানোয়ার হোসেন, মিরাজুল ইসলাম ও ওসি ডিবিকে ঘটনা তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওসি মিজানের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দায়সারা রিপোর্ট প্রদান করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এসপির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি। বিচারের নামে ওসি মিজানকে ধর্ষণ মামলা থেকে রক্ষা করে বিয়ের আয়োজন ও কাবিননামা করেন। এসময় উক্ত বিষয়ে জাতীয় পত্র পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। অভিযূক্ত পুলিশ ক্ষমতার দাপটে সাংবাদিকদের নানাভাবে ভয়ভীতি ও চাপ প্রয়োগ করেন। গাজীপুরের সাবেক এসপিসহ তার অধিনস্ত কর্মকর্তারা তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তিনি এ ঘটনার জন্য তাদের বিচার দাবি করেন। 

এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার সাবেক ওসি সৈয়দ মিজানুর রহমান বলেন, আমি বিয়ে করেছি। বনিবনা না হওয়ায় গত এপ্রিল মাসে আইন মেনে তালাক দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে গাজীপুরের সাবেক এসপি কাজী সফিকুল আলমের মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ