হাতিয়ায় চেতনা নাশক স্প্রে করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদটাকা লুট
মোহাম্মদ আবু নাছের, নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে গভীর রাতে ঘরের সবাইকে চেতনা নাশক স্প্রে করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদটাকা লুট করা হয়েছে।
স্প্রের শিকার গৃহ কর্তা শাহে আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি।
শুক্রবার (৭ জুন) দিবাগত গভীর রাতে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের নন্দরোড সংলগ্ন শাহে আলমের বাড়ীতে গভীর রাতে চেতনা নাশক স্প্রে করে ঘরে এ লুট পাঠ সংগঠিত হয়েছে।
পারিপারিক সূত্রে জানা যায়, গতকালই শাহে আলমের স্ত্রী বিদেশ ফেরৎ ছোট ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার কাজে ঢাকায় গেলে দুই ছেলের স্ত্রী ও শাহে আলম বাড়ীতে ছিলেন। শুক্রবার রাত দশটায় গৃহ কর্তা শাহে আলম বাজার থেকে এলে ঘরে তার দুই পুত্রবধুরা সহ রাতের খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়। অনেক বেলা হলেও ঘরে কোন লোকজনের ঘুম ভাঙে না। অনেক পরে ঘরের ছোট বাচ্ছাদের কান্না কাটিতে ক্রমশ পুত্র বধুরা চোখ মেলতে পারলেও চেতনা নাশক স্প্রের প্রভাবে তারা উঠে দাঁড়াতে পারছে না। একপর্যায়ে তারা দেখে যে ঘরে আসবারপত্র এলোমেলো ভাবে তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারি সিন্দুক সব খোলা। আলমারির ভিতর টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের কিছুই নাই।
এলাকাবাসীরা হাতিয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে শাহে আলমকে হাতিয়া উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুত্র বধুদ্বয়কে স্থানীয় ডাক্তার ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার ডাঃ খালেদ সাইফুল্লাহ ফয়সাল জানান, চেতনানাশক স্প্রের শিকার শাহে আলম এখনো অজ্ঞান অবস্থায় রয়েছে। আমরা তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছি।
হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গেছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।