স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এর নির্দেশনায় সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে দু”পক্ষের সম্মতিতে বাড়ীতে ফিরলেন জামিনে থাকা হত্যা মামলার আসামীরা
মোঃখলিলুর রহমান খলিল ঃআজ ১২/০৫/২০২৪ রোজ রবিবার স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল এর নির্দেশনায় নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাদেকপপুর গ্রামের গোলাপ মিয়া হত্যা মামলার উভয় পক্ষের উপস্থিততে স্থানীয় প্রশাসন ও সিনিয়র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতায় সাদেকপুর বাজারে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে শান্তির লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নবীনগর উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের সাদেকপুর গ্রামের গোলাপমিয়া হত্যা মামলার আসামীরা দীর্ঘ এক বছর যাবৎ গ্রাম থেকে বিতারিত ছিলেন।হত্যা মামলার আসামী হওয়ার পর আদালতের মাধ্যমে জামিনে এসেও পলাতক জীবন যাপন করতো।সাবেক সাংসদের সময়ে একাধিক বার সামাজিক সালিশের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও থানা প্রশাসনকে নির্দেশনা প্রদান করেন উভয়পক্ষকে একসাথে বসিয়ে আলোচনার মাধ্যমে জামিনে থাকা আসামিদের নিজ বাড়ীতে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করতে। নির্দেশনা মোতাবেক আজ সাদেকপুর বাজারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম, নবীনগর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন আহমেদ, মোঃ মোজারুল হক সরকার, তাজুল ইসলাম মেম্বার ৪নং ওয়ার্ড শ্রীরামপুর ইউনিয়ন, বিল্লাল হোসেন ৩ নং ওয়ার্ড, সাবেক মেম্বার ইসমাইল, সোহেল,মোতালেব সরদার,।উল্লেখ গত বছরের ২৭ জুন সাদেকপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে বাছির মিয়া ও গোলাপমিয়ার বাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।সংঘর্ষে গোলাপ মিয়া টেটা বর্শাতে বিদ্ধ হয়ে ঢাকায় চিকিৎসারত অবস্থায় ২৯ জুন মৃত্যু বরণ করেন। গোলাপ মিয়ার ভাস্তি কুলসুম বেগম বাদী হয়ে বাছির মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনকে বিবাদী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।এই মামলার ১নং আসামি বাছির মিয়া ছাড়া বাকি তেরজন আসামি বর্তমানে জামিনে আছেন। সাদেকপুর গ্রামে ঘুরে দেখা গিয়েছে দশটি বিল্ডিং ও আদা পাকা বাড়ী লোটপাট করা হয়েছিল। যারা বাড়ীতে এসেছে তাদের অনেকেই বাড়িতে ঘুমানোর ব্যবস্থাও নেই।তবে তারা তারপরেও বাড়িতে উঠতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা আমাদের এলাকার সন্তান জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল ভাইকে ধন্যবাদ জানাই।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম বলেন,সাদেক পুরে যেহেতু একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মার্ডারের মতো ন্যাক্কার জনক ঘটনা ঘটেছে সেই ঘটনায় মামলা হয়েছে এই বিষয়টি আইনের গতিতে চলবেই তবে যারা জামিনে এসেছে তারা যার যার বাড়ীতে অবস্থান করবে, দুই পক্ষের লোকজন উপস্থিত হয়ে আমাদের কথা দিয়েছেন তারা আর কোন মারামারির ঘটনা করবে না, আমি স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের নির্দেশনায় আজ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এসে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছি যদি পরবর্তীতে কোন মারামারির ঘটনা সংগঠিত হয় আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করবো।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযুদ্ধা আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন আহমেদ বলেন আমরা নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল ভাইয়ের নির্দেশক্রমে নবীনগরে আওয়ামীলীগ নেতা শফিক সাহেব ও ভিপি আব্দুর রহমান এর সমন্বয়ে উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে এর আগেও দুইবার আলোচনা করেছি,আজ থেকে আলহামদুলিল্লাহ উভয় পক্ষের লোকজন যার যার বাড়ীতে অবস্থান করবে বলে কথা দিয়েছেন, তবে হত্যার সাথে যারা সরাসরি জড়িত তারা কোন ক্রমেই বাড়িতে অবস্থান করতে পারবে না।