প্রবাসী দালাল জাকিরের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব বহু পরিবার
মোঃখলিলুর রহমান খলিল ঃ নবীনগর উপজেলার শাহবাজপুরের মৃত দারুমিয়ার ছেলে জাকির মিয়া বর্তমানে নবীনগর পৌর শহরের পশ্চিম পাড়ায় বসবাস কারী সৌদি আরবে লোক নেওয়ার নাম করে বহু পরিবার থেকে প্রতারণা করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আলমনগর উত্তর পাড়ার ফারুক মাষ্টারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে আশরাফুল ইসলামকে সৌদি আরবে হোটেলে কাজ দেওয়ার নাম করে লোভনীয় বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভিসা দিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সালে সৌদি নেন।।প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আশরাফুলকে কোন কাজ ও আকামা তৈরি করে দেয় নাই। সৌদি আরবে মানবেতর জীবন পার করে অবশেষে সৌদি পুলিশের নিকট আকামা না থাকায় আটক হয়ে জেল খাটে। দশ দিন সৌদি কারাগারে থাকার পর ২২ ডিসেম্বর ২০২৩ সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফেরত আসেন। সৌদি আরবের অবস্থানের সময় আশরাফুল প্রায় এক বছর খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন পার করেন।আশরাফুল বাংলাদেশে ফেরত আসার পর তার পিতা ফারুক মাষ্টার ক্ষতিপূরণের দাবিতে বাদী হয়ে জাকির ও তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তার সরলা ও গংদের বিবাদী করে নবীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।জাকির হোসেন তার সহোদর বাইজিদ ও সফিকুল কে উপস্থিত রেখে ফারুক মাষ্টারের নিকট থেকে ভিসা বাবদ ছয় লক্ষ ৫০ হাজার টাকা গ্রহন করেন।অভিযোগ দায়ের পর তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম নবীনগর থানায় দুই পক্ষ কে উপস্থিত রেখে কথা বলে তথ্য প্রমান গ্রহন করেন। তাছলিমা আক্তার সরলা ফয়সার সময় নিয়ে প্রতারণা করে কাউকে অবগত না করে সৌদি আরবে চলে যায়।আশরাফুল ইসলামকে সৌদি কারাগার থেকে মুক্ত করতেও ২ দুই হাজার রিয়াল খরচ করেন।
বিবাদী তাছলিমা দেশে থাকাকালীন সময়ে থানায় অভিযোগের খবর পেয়ে আলমনগরের শালিস কারক লিল মিয়া সরদার, নবীনগর পশ্চিম পাড়ার তাজু মিয়া ও কাউসার আলম শিবুকে ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষতিপূরন দিবেন কিন্তু তিনি তাদের অবগত না করেই বিদেশে চলে যায়।
তাছাড়াও এই এলাকার অনেক পরিবারের সাথে বিদেশ নেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।