নবীনগরে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা!
মোঃ খলিলুর রহমান খলিল
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ছয়জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। নবীনগর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর নীলুফার ইয়াসমিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইবুনাল মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেরিরিজম ইউনিটকে মামলাটি তদন্ত করে দ্রুত তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
ছয় আসামী হলেন পৌর সভার সদর বাজারের ব্যবসায়ী পুতুল বেগম পিতা নসু মিয়া, আলমনগর, সমকাল নবীনগর প্রতিনিধি মাহবুব আলম লিটন, পিতা মৃত মিজান মিয়া,আদালত পাড়া নবীনগর, সাংবাদিক বাবুল মিয়া পিতা মৃত আব্দুর রউফ, নারায়ণ পুর,সাংবাদিক সফর মিয়া মেম্বার পিতা মোহন মেম্বার, ফতেহপুর, সাংবাদিক জ, ই,বুলবুল পিতা মনিরুল হক,হুররা জিনদপুর, সাংবাদিক মমিনুল হক রুবেল পিতা আবুল কাশেম নাটঘর, নবীনগর।
পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই জুয়েল চৌধুরী গতকাল শুক্রবার আসামীদের নাম ঠিকানা যাচাই বাছাই করার জন্য নবীনগর থানা পুলিশের সহযোগিতা চান। আর তখনই মামলার খবরটি নবীনগরে চাওর হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীনগর পৌর সভার ১,২ ও ৩ ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর নিলুফা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ছয় আসামি মুক্তাযোদ্ধার ভূয়া সন্তান হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন বলে পত্রিকায় রিপোর্ট করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওইসব রিপোর্টে মিথ্যা ও মানহানীকর দাবী করে কাউন্সিলর নীলুফার ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলাটি করেন।
এদিকে এ মামলার খবরে সাংবাদিক সমাজসহ স্থানীয় জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
এলাকার সচেতন মহল মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন।
মামলার বিষয়ে জানতে নিলুফা ইয়াসমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আলমনগরের কথিত নসু রাজাকারের মেয়ে পুতুল আমার নামে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে কিছু সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি আশা করি সঠিক বিচার পাবো।